সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি দীপক ঘোষ ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর আততায়ীর গুলিতে প্রান হারান। সেই উপলক্ষে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে তৃণমুল কংগ্রেসের ব্লক কার্যালয়ের সামনে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরন সভায় উপিস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের যুবসভাপতি দেবব্রত সাহা, রাজ্য মহিলা নেত্রী অসিমা ধীবর, খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন সাহা, ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী, কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহমান, প্রয়াত সভাপতি অশোক ঘোষের পুত্র তথা দীপক ঘোষের ভাইপো বিশ্বজিৎ ঘোষ সহ ব্লক তৃণমুলের অন্যান্য নেতৃত্ব। স্মরণ সভা মঞ্চে প্রয়াত দীপক ঘোষের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে প্রয়াত দীপক ঘোষ একজন বলিস্ট নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বেই বিগত পঞ্চায়েত ভোটে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতি সহ ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল তৃণমুল। উল্লেখ্য খয়রাসোল ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীন একের পর এক তিন ব্লক সভাপতি খুন হন আততায়ীর হাতে। শহীদ অশোক ঘোষের পুত্র বিশ্বজিৎ ঘোষ চাঁছাছোলা ভাষায় খয়রাশোল ব্লক তৃনমূল নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করেন।তিনি অযোগ্য নেতৃত্বের বহিস্কার করে যোগ্য নেতৃত্বদের বসাতে হবে বলে মঞ্চের মধ্যে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন খয়রাশোল ব্লক নেতৃত্বের অযোগ্যতার জন্যই আজ খয়রাশোলে বিজেপি, সিপি আই এমের উত্থান। আজ থেকে চারবছর পুর্বে দীপক ঘোষের সময়ে বিজেপি-সিপিআইএম এর ঝান্ডা বাঁধার লোক ছিল না। ব্লক নেতৃত্তে দায়িত্ব নিয়ে ব্লক ছেড়ে সিউড়ি, পান্ডবেশ্বর সহ ব্লকের বাইরে বসবাস করে ব্লকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমি একজন তৃনমুল কর্মী এবং শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে বলছি। যদিও দলীয় নেতৃত্ব তার কথায় আমল দিতে নারাজ। পাশাপাশি তার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে ও উঠছে বিতর্ক, তিনি ও এলাকায় থাকেন না বলে। তার যোগ্যতা থাকলে আজ ব্লক স্তরে তিনিই নেতৃত্ব দিতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর দলীয় ভাবে স্মরণ সভা উপলক্ষে খয়রাসোল ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দুই শত করে লোক সমাগম করার কথা, সে অর্থে লোক সমাগম না হওয়ায় কি শহীদ পরিবারের সদস্যের এই ক্ষোভ, উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য আজকের স্মরণসভার স্থানেই গত ১৯ অক্টোবর সিপিআইএম খয়রাসোল এরিয়া কমিটির ডাকে এবং রাজ্য নেতৃত্ব শতরূপ ঘোষের মিছিল ও সভা ঘিরে প্রায় দুই হাজার লোকের সমাগম ঘটায় কি এমন মন্তব্য?