সন্তোষ পালঃ
পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন এবং বীরভূম জেলা রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানের উদ্যোগে ও দুবরাজপুর চক্র সম্পদ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় আজ পালিত হলো বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। চক্র সম্পদ কেন্দ্রের হল ঘরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চক্র সম্পদ কেন্দ্রের সার্কেল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তথা এস আই অফিসের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৈকত ঘোষ, দুই স্পেশাল এডুকেটর কাকলি দাস, নীলকান্ত মুখার্জীসহ অফিসের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ, এই চক্র সম্পদ কেন্দ্রের বিশেষ চাহিদদের সম্পন্ন শিশুরা এবং তাদের অভিভাবক ও অভিভাবিকারা। অন্ধ শিল্পী পূজা মাহাতার সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৈকত ঘোষ বলেন জয়ফুল লার্নিং এর মধ্য দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা তাদের লক্ষ্যে উপনীত হতে পারে, এজন্য অভিভাবক অভিভাবিকাদের সচেতনতা আবশ্যক। পাশাপাশি অভিভাবক-অভিভাবিকারাও তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এদিন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি সাজো, কবিতা, আবৃত্তি, নৃত্য সহ একাধিক বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। সকলকে অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য জাতিসংঘ ১৯৯২ সালে আজকের দিনটিকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তারপর থেকেই সমগ্র বিশ্বজুড়ে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
উত্তম মণ্ডলঃ
পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন, বীরভূম জেলা শাখার উদ্যোগে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হলো রাজনগরে। হাজির ছিলেন রাজনগর বিডিও শুভদীপ পালিত, রাজনগর ব্লক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে থাকা কো-অর্ডিনেটর অপর্ণা দাস থেকে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার।
বিপিন পালঃ
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন এর তরফে বীরভূম জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে এবং খয়রাশোল দক্ষিন চক্রের আয়োজনে আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে কাঁকড়তলা থানার হজরতপুর ২ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচীর মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে বা মেয়েদের অভিভাবক অভিভাবিকাদের উদ্যেশ্যে বলেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলে বা মেয়েদের করুনা নয় এদের ভালোবাসুন। শিক্ষা পেলে ভালোবাসা পেলে এরাও দেশের বা সমাজের জন্য অনেক কিছুই করতে পারে।কর্মসূচীতে নাচ,গান,কবিতা, আবৃতি, ছবি আঁকা সহ নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এ হেন উদ্যোগকে অভিভাবক ও অভিভাবকেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন সেকেন্ডারী জেলা এ আই তুষার কান্তি দত্ত, প্রাথমিক দপ্তরের এ আই সূর্যকান্ত সাহা, খয়রাশোল দক্ষিন চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রবিউল ইসলাম, খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন কুমার সাহা, শিক্ষানুরাগী শ্যামল গায়েন, আব্দুল হক কাদেরী সহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, অভিভাবক, অভিভাবিকারা ও ছাত্রছাত্রীরা। উল্লেখ থাকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন উপস্থিত সমস্ত ছেলে মেয়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা।