শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের “আমোদপুর সৎসঙ্গ উপাসনা কেন্দ্রে’র” উদ্যোগে আজ ১১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৫ তম জন্মমহোৎসব। আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের ফুটবল ময়দানে আজ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য শ্রদ্ধায় এই মহোৎসব উদযাপিত হয়। সকাল থেকেই নহবতের সুর, উষাকীর্তন, সমবেত প্রার্থনা, ঠাকুরের বাণী পাঠ, সঙ্গীতাঞ্জলী সহ ঠাকুরের কাছে ভোগ নিবেদন করা হয়। পরে ঠাকুরের প্রতিকৃতি নিয়ে বের হয় শোভাযাত্রা।”বন্দে পুরুষোত্তম” ধ্বনিতে মুখরিত হয় এলাকার আকাশ-বাতাস। আলোচিত হয় ঠাকুরের জীবন দর্শন। দুপুরে অন্তত ১২ হাজার ভক্ত-শিষ্যরা এক সংগে গ্রহণ করেন মহাপ্রসাদ। এ তথ্য জানিয়েছেন উৎসব কমিটির সম্পাদক শিক্ষক মনিমোহন মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের অন্যতম ঋত্বিক অনিল চক্রবর্তী, আমোদপুর সৎসঙ্গ উপাসনা কেন্দ্রের সহ-প্রতি ঋত্বিক শাশ্বত সুন্দর মন্ডল, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিশিষ্ট সমাজসেবী অমরচাঁদ কুন্ডু প্রমুখ। উল্লেখ্য, ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ছিলেন সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। ১২৯৫ বঙ্গাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরবর্তী হিমাইতপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাক্ষ্মণ। তাঁর জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বী রমনী। খুব শিশুবেলাতেই মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহন করেন ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। উল্লেখ্য, ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নামে দেশ-বিদেশে বহু সৎসঙ্গ আশ্রম গড়ে উঠেছে। রয়েছে লক্ষ- লক্ষ দীক্ষিত শিষ্য। এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঠাকুরের ভক্ত-শিষ্যরা এই মহোৎসবে অংশ নেন। সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থনা ও ঠাকুরের ভাবধারায় কীর্তন গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।