অভিজিৎ চ্যাটার্জী
চৈত্র মাসের দুর্গাপুজো বলে পরিচিত বাসন্তী পুজো। দুর্গাপুজোর দাপটে হারিয়ে যাওয়া এই পুজো এখন কয়েকটি বনেদি বাড়িতেই টিকে আছে। বোলপুরের উকিলপট্টীতে একটিমাত্র সার্বজনীন বাসন্তী পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই বছর এই পুজো ২০৫ বছরে পদার্পণ করল। কলা ফুল-ফলের নৈবেদ্যতেই সন্তুষ্ট বোলপুরের উকিলপট্টীর মা বাসন্তী। শুক্লা সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত এখানে গঙ্গাজলে রান্না করা হয় দেবীর ভোগ। কোন অকালবোধন হয় না এই সার্বজনীন পুজোতে। একচালার প্রতিমা আর সাবেকি রীতিনীতি মেনে সম্পন্ন হয় পুজো। ইংরেজির ১৮২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী রাখাল চ্যাটার্জি ও বালক চ্যাটার্জী একটি গোষ্ঠী তৈরি করে এই বাসন্তী পূজা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে বোলপুরের ব্যবসায়ীরা মিলিতভাবে এই পুজোর আয়োজন করে আসছে। পুজো কমিটির এক প্রবীণ সদস্য জানাচ্ছেন। প্রথমে একটি ঘরের চাল দেওয়া ছোট মাটির ঘরে এই বাসন্তী পূজা শুরু হয়। বর্তমানে সেই ছোট ঘরটিকে সংস্কার করে পাকা মন্দিরে পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে প্রতিবছর। প্রতিবছরের মতো এবছরও শনিবার অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। চার দিনের পুজোতে কীর্তন গান বাউল গান ও পাড়ার ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এই পুজোতে। আগের মত এই পুজোয় জৌলুস না থাকলেও পুজো কমিটি বাঁচিয়ে রেখেছে এই পুজো। জানা গেছে এই পুজো শুরু হয়েছিল যাদের হাত ধরে সেই রাখাল চ্যাটার্জি ও বালক চ্যাটার্জির নাম আজও সংকল্প হয়ে আসছে এই পুজোতে।