সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল সিবিআই, ইডির হেফাজতে যেতেই জেলার রাজনৈতিক কাঠামো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র এবং বাকবিতন্ডার সুর চড়তে থাকে। অনুরূপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। উল্লেখ্য গতকাল সমস্ত জেলা নিয়ে বৈঠক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও গোষ্ঠীদ্বন্ধ আটকানো সম্ভব হচ্ছে না বীরভূম জেলায়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল জেল হেফাজতে থাকায় সভাপতি হীন ভাবে তৃনমূল দল চলতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যের কোর কমিটি গঠন করে জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব বর্তায়। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে চার জন নিয়ে গঠিত কোর কমিটির জায়গায় তিনি ৭ জনের কমিটি গঠন করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত সাতজনের কোর কমিটি মানিনা বলে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে জেলা রাজনীতিতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকট হয়ে উঠছে। আবার সেই কমিটিই মানিনা বলে সোসাল মাধ্যমে পোস্ট করে বসলেন অনুব্রত মন্ডল এর সব থেকে ঘনিষ্ট জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ। পাশাপাশি, তিনি তৃণমূলের একধিক দায়িত্বেও রয়েছেন। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, “বীরভূম জেলায় কোর কমিটি বলে কিছুই নেই”। পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন যে, “কোনো ধান্দাবাজ রাজনীতির লোকের বোলপুরে জায়গা নেই”। বিশেষ উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের কর্মসূচিতে অনুব্রত মন্ডলের নাম বা ছবি সহ কোন কাট আউট, ব্যানার পোস্টার, ফেস্টুন ইত্যাদি জায়গায় তার নাম না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতদসত্ত্বেও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অনুরাগীদের এলাকা থেকে অনুব্রত মন্ডলের ছবি সহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে বোলপুর মিছিলে যোগ দেওয়ার চিত্র ধরা পড়ে। জেলা তৃনমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল সিবিআই, ইডির হেফাজতে যেতেই জেলার রাজনৈতিক কাঠামো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চিত্র এবং বাকবিতন্ডার সুর চড়তে থাকে। অনুরূপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। উল্লেখ্য গতকাল সমস্ত জেলা নিয়ে বৈঠক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও গোষ্ঠীদ্বন্ধ আটকানো সম্ভব হচ্ছে না বীরভূম জেলায়।