সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলা শ্রম দপ্তর ও নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় এবং নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ক যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ২০ এপ্রিল নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে। উক্ত আলোচনায় নারী ও শিশু পরিযায়ী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনা হয়। মাইগ্রেন্ট রেজিলেন্স কোলাবরেটিভ প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্যই ছিল সেভ মাইগ্রেশন ও সকলের জন্য সন্মান। শ্রমিকদের ও তার পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা, আইনি সহায়তা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই শিবির। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা পরিষেবায় চালু শ্রমিক হেল্প লাইন নাম্বারের সুবিধা, শ্রম দপ্তরের মাধ্যমে শ্রমিকদের নানাবিধ সহযোগিতা, জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি, সি ডাব্লিউ সি, লোক আদালত ইত্যাদি সহায়তা পেতে পারে শ্রমিকরা। কাজের ক্ষেত্রে কোন নাকাক্ষিত ঘটনায় বিপদ গ্রস্ত শ্রমিক হেল্প লাইনের সাহায্যে তার সমস্যা জানাতে পারেন শ্রমিক বা তার পরিবারের যে কোন ব্যক্তি। নারী পুরুষ সমকাজে সমবেতন, মহিলাদের গর্ভবস্থায় ছুটি ও কম্পেনসেসান এর অর্থ পাওয়ার সুযোগ এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বীমা ও পিএফ হিসেবে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বিনা মূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বিষয়ে আলোকপাত করেন লেবার ইন্সপেক্টর। ৪০ হাজার মহিলাদের নিয়ে ফিল্ডের কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্রাম সেবিকা তৃপ্তি মন্ডল জানালেন যে এই বিষয়ে ওনাদের পরিবারগুলিকে সচেতনার জন্য আগামী দিনে সংঘ মহাসংঘ স্তরে আরো আলোচনার প্রয়োজন। এদিন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন পাল, নানুর যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জয়ন্ত বড়ুয়া, শ্রমিক ইন্সপেক্টর চয়ন সাহা, পরিযায়ী শ্রমিক সহ নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডিস্ট্রিক্ট কো অর্ডিনেটর হেমন্ত প্রধান প্রমুখ। নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সম্পাদিকা রহিমা খাতুন জানান, “যে আগামী দিনে কোন মহামারী বা দুর্যোগ আসলে বাংলার অসংগঠিত পরিযায়ী শ্রমিকরা শ্রম অধিকার পেতে তারা সাহসী ভূমিকা গ্রহণ করবে। ভিনরাজ্যে গিয়েও নিরাপদে কাজ এবং সম্মানের সাথে পরিবারের সকলকে নিয়ে সুস্থ্য জীবন জীবিকা নির্বাহ করবেন।