শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরের বেহিরা নিম্ববাসিনি কালিতলা সংলগ্ন একটি গাছে এক সাধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই মৃত সাধুর নাম স্বামী ভবানন্দ ওরফে ভুবন সাধু। এই সাধুর পরিবার সূত্রে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। ভুবন সাধুর পৈত্রিক বাড়ি ছিল খয়রাশোল ব্লকের পাঁচড়া গ্রামে। ১০-১২ বছর আগেই তিনি গৃহত্যাগ করে সাধু হয়ে যান এবং আশ্রমে আশ্রমে জীবন কাটান। এ তথ্য জানিয়েছেন ভুবন সাধুর সহোদর দাদা জীবন মন্ডল। তবে এই ঝুলন্ত দেহ ঘিরে নানা প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।তাঁকে কেউ বা কারা খুন করে দেহ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। পরিবারের পক্ষ থেকেও এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট, মিলেছে সোনার আংটি। সুইসাইড নোটে যে লেখা তা ভুবন সাধুর হাতের লেখা নয় বলে পরিবারের পক্ষ দবী করা হয়েছে। সাধুর ঝুলন্ত দেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সাধুর পা দুটি মাটিতে ঠেকে ছিল। এটি আত্মহত্যা নয় খুন বলেই তাদের অনুমান। স্থানীয় মানুষের জোরালো অভিযোগের ভিত্তিতে মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলের ভিতরে বসবাসকারী এক সাধিকাকে আটক করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ। তবে সাধুর মৃত্যুরহস্য ঘিরে এলাকায় ফিসফাস গুঞ্জন উঠছে। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এই এলাকায় ক’বছর ধরেই এই ভুবন সাধু যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, বহু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন তিনি। সেইজন্যই এই বেহিরা নিম্ববাসিনী কালীমন্দির কমিটির সদস্যদের কাছে তিনি বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। ভুবন সাধুর দাদা জীবন মণ্ডলের অভিযোগ,সেই কারণেই তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। তিনি মন্দির কমিটির সদস্য পুরন্দরপুরের ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে খবর।