শম্ভুনাথ সেনঃ
কৃষিনির্ভর বীরভূম। আর বীরভূমের কৃষি মূলতঃ বৃষ্টি নির্ভর। ৭০ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্ষা ঋতু প্রায় শেষ! কিন্তু এবারও বৃষ্টি নেই। চাষীদের মাথায় হাত। মন মুখ শুকনো। এখনো পর্যন্ত আশা এবং আশঙ্কায় দিন গুনছেন জেলার কৃষিজীবীরা। এই খারিফ মরশুমে বীরভূমে তিন লক্ষ বারো হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। বৃষ্টির জলে এ পর্যন্ত ১০% জমিতে ধান রোপন করা যায়নি। অনাবৃষ্টির কারণে জেলার জলাধারগুলিতেও জল সঞ্চয় হয়নি। ভূগর্ভস্থ জলে ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া, ইলামবাজার, লাভপুর এমন কিছু ব্লকে ধীরগতিতে চলছে ধান রোয়ার কাজ। অন্যদিকে দুবরাজপুর, রাজনগর, খয়রাশোল, এলাকাতে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টি অভাবে ধান রোয়া সম্ভব হয়নি। তবে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের সুবিধা দিতে এবারও “বাংলা শস্য বীমা-২০২৩” এর খারিফ মরশুমের জন্য আবেদন পত্র গ্রহণের কাজ চলছে পুরোদমে। জেলার ১৯ টি ব্লকের ১৬৭ গ্রাম পঞ্চায়েতে চাষীরা ক্ষতিপূরণের আশায় শস্য বীমার আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন তাদের নিজস্ব ব্লক ও পঞ্চায়েত এলাকায়। শস্য বীমার আবেদনপত্র জমা পড়ছে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকেও। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য হয়েছে ৩১ আগস্ট, ২০২৩। এখানে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা বাংলা শস্য বীমার জন্য আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও তাদের কৃষি বিভাগের অফিসে। সে কথায় জানিয়েছেন খয়রাশোল ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সুরজিৎ গড়াই।