সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
প্রসব বেদনার যন্ত্রনা নিয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এক গর্ভবতী মহিলাকে। দুপুর একটা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ায় তথা চিকিৎসকের গাফিলতিতে শেষ অবধি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বলে গর্ভবতী মহিলার পরিবারের অভিযোগ। ঘটনাটি ৭ আগষ্ট রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের ঘটনা। মৃতের পরিচয়ে জানা যায়, সাহিদা খাতুন নামে মুরারই থানার বাজিতপুর গ্রামের গৃহবধূ ছিলেন মৃত ঐ গর্ভবতী মহিলা। মৃতার স্বামী আতাউর রহমান রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিএমওএইচ এবং এমএসভিপি-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য মূলত সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুশ্রী দাস সহ অন্যান্য পাঁচজন স্টাফদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাতে থাকলেও মেলেনি কোনো চিকিৎসা। উপরন্তু গর্ভবতীর অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফটানির কথা স্টাফদের বলতে গেলে শুনতে হয়েছে নানা কথা বলে মৃতার মায়ের বক্তব্য। পাশাপাশি মৃতার দাদার বক্তব্য ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসাতো হয়নি এমনকি ডাক্তারের কাছে কলবুকও পাঠানো হয়নি। সুপারের কাছে কলবুক রেজিষ্টার দেখতে চাইলেও দেখাতে চাননি।