সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত ১৬ আগস্ট বীরভূম জেলার সভাধিপতি আসনে শপথ নেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সদস্য তথা নানুর এলাকার দাপটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। রাজনৈতিক জীবনে এবারেই প্রথম জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জেলায় এক চমক সৃষ্টি করেন। সেই সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও নতুন চমক বীরভূম জেলা সভাধিপতির আসনে কাজল শেখ কে বসিয়ে। সভাধিপতির আসনে বসেই তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। দেওয়া হচ্ছে সরকারি বেসরকারি ভাবে এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা। কাজল সেখ ছুটে যাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন মন্দির, মাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছে। পাশাপাশি হাসপাতালে পরিষেবার মান উন্নয়ন দেখা তথা রোগীর আত্মীয় স্বজনদের সাথে সরজমিনে কথোপকথনের মাধ্যমে সমস্যার কথা শোনা। দিন কয়েক পূর্বে পাথরচাপুরিতে হজরত দাতা মেহবুব শাহ ওলীর মাজারে চাদর চড়িয়ে যেমন সকলের মঙ্গল কামনা করেছিলেন। অনুরুপ আজ বুধবার তারাপীঠ মন্দিরেও পুজো দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করলেন।জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ এরপর রামপুরহাট পৌরসভা যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। সেখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয় জেলা সভাধিপতিকে। তারাপীঠ মন্দিরে পূজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়া এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন গুলি মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছানায় আমার মূল লক্ষ্য। তাছাড়াও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে সমন্বয় সাধন করা মানুষের মধ্যে। আমি নবনির্বাচিত সভাপতি পুরাতন নয় অতএব একটু অপেক্ষা করুন। গতকাল বগটুই গ্রামের মৃত লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন লালন শেখ আমাদের কাছে নেই, তার পরিবারের সদস্যরাও বাড়িতে নেই তা সত্ত্বেও তার বাড়ির বাগান থেকে বোম উদ্ধার। এটা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছেন নিরপেক্ষভাবে। পুলিশের উপরে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে একটু অপেক্ষা করুন তাহলেই দুধ কা দুধ পানি কা পানি বেরিয়ে আসবে, একটু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তারাপীঠ মন্দিরে পুজোতে কি প্রার্থনা করলেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে জানান মা, মাটি, মানুষের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আবেদন করেছি, সকলের মঙ্গল কামনায়। বীরভূম জেলা পূর্ণ ভূমি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্পদের মানুষজন তারাপীঠ মন্দিরে আসেন। কিছু প্রার্থনা করার জন্য সেই রূপ আমিও এসেছি। এছাড়াও আগামী দিনে আমার চলার পথ যেন আরো সুদৃঢ় হয় এবং মসৃণ হয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে যেন চলতে পারি সেই প্রার্থনা ও করা হয়। এছাড়াও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কয়েক বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তার ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে সেই কামনাও করি। জেলায় একটা নতুনরূপে বীরভূম এর স্বপ্ন, আগামী দিনে বাংলার মানচিত্রে যেন তুলে ধরতে পারি। জেলায় অনুব্রত বিরোধী বলে এতদিন পরিচিত ছিলেন সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে দেখতে দিল্লী যাবেন কিনা। তিনি রাজনৈতিক কৌশলে বুঝিয়ে দেন বা বলেন তিনি আমাদের জেলার দলীয় সভাপতি, তিনি আমার রাজনৈতিক গুরু অতএব যাওয়ার চেষ্টা করব।সভাধিপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে তাই কাজ সেরে অবশ্যই অনুব্রত মণ্ডল কে দেখা করতে যাব।