সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূমের খয়রাশোল ব্লক এলাকা মূলত কৃষি নির্ভর। গত বছর এবং এবছরেও আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষ ব্যবস্থাও ভালো হয়নি। তাই কর্মসংস্থানের সন্ধানে মানুষ দলবদ্ধ ভাবে ছুটে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিবন্ধীকরণের জন্য নতুন দপ্তর খুলেছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মোতাবেক দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতেও তাদের নাম নথিভুক্তকরণ চলছে। ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ বাড়ি ফিরল খায়রাসোল ব্লকের বড়রা ডাঙ্গালপাড়ায়। জানা যায় মৃত সেখ রবিউল ওরফে মান্নান নামে কুড়ি বছরের যুবক ১৩ দিন আগেই হায়দ্রাবাদে রেস্টুরেন্টের কাজে যোগ দেয় গ্রামের আরো পাঁচজন সঙ্গীর সাথে। যদিও সঙ্গীরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিমধ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে শেখ রবিউল স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয় রেস্টুরেন্ট মালিকের সাহায্যে। এরপর ফোনে তার সঙ্গী সাথীদের সাথে যোগাযোগ করে খবর জানানো হয় শরীর খারাপ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির। তারমধ্যেই ১০ সেপ্টেম্বর রাত্রি নটা একুশ মিনিট নাগাদ হাসপাতালেই মারা যায়, যা হাসপাতালের ছুটির কাগজে উল্লিখিত। তরতাজা যুবক সেখ রবিউল এর মৃত্যুর খবর আসতেই বড়রা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। জানা যায় যে, হায়দারাবাদ রেস্টুরেন্ট মালিকের ত্রিশ হাজার টাকা সহায়তা এবং বড়রা গ্রামবাসীদের চাঁদার মাধ্যমে মৃতদেহটি হায়দ্রাবাদ থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বড়রা গ্রামের ডাঙ্গালপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি খয়রাশোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বড়রা গ্রামবাসী বৃন্দ। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তার কাজের বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে খয়রাসোল বিডিও আশ্বস্ত করেন। এদিকে জেলা সভাধিপতি কাজল সেখ মারফত রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামকে ও খয়রাশোল এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদটি জানানো হয়েছে বলে জানা যায়।