শম্ভুনাথ সেনঃ
নদী আমাদের মায়ের মতো। নদীকে ঘিরে আমাদের যত সভ্যতার ইতিহাস। ইদানিং সেই নদীর গতিপথ হারিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই আর স্বাভাবিক বৃষ্টি নেই। তাই বহমান নদী দেখা এখন সৌভাগ্যের ব্যাপার! অবিরত বালি তোলার ফলে নদীর বুকে গজিয়ে উঠছে গাছপালা। এমন সময়ে নদী বাঁচানোর ভাবনায় কিছু প্রকৃতিপ্রেমী সমাজ সচেতন মানুষ পথে নেমেছেন। “নদী বাঁচাও, জীবন বাঁচাও” এমন ভাবনা নিয়ে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী রাজনগর ব্লকের রাণীগ্রাম,পাটমুড়ি কুশকর্ণী আশ্রমে অনুষ্ঠিত হলো “কুশকর্ণী উৎসব”। আসলে রাজনগর এলাকার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছুঁয়ে বয়ে গেছে এই কুশকর্ণী নদী। নদীর পাড়েই নির্মিত হয়েছে এই কুশকর্ণী আশ্রম। আজ সারাদিন ধরেই চলে এখানে নানা অনুষ্ঠান উৎসব। আয়োজন করে স্থানীয় কুশকর্ণী নদী সমাজ সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও ভিন রাজ্যের নদী বাঁচাও, জীবন বাঁচাও আন্দোলনের সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। এদিন সকালে সাহাবাদ গ্রাম থেকে স্থানীয় পড়ুয়ারা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে একটি শোভাযাত্রায় সামিল হয়। পরিবেশিত হয় আদিবাসী নৃত্য। আলোচনায় উঠে আসে নদী বাঁচানোর কথা। নদী পাড়ে লাগানো হয় গাছের চারা। বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানারে, লিফলেটের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখন্ড থেকে অতুল সতী, ছত্রিশগড় রাজ্যের গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ির রূপক মুখার্জি, কলকাতার তাপস দাস এমন নদী ও পরিবেশ প্রেমী মানুষজন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ কর্মকার, তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতনের ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌগত চৌধুরী, সঞ্জয় গড়াই প্রমুখ। এছাড়া স্থানীয় সমাজ সচেতন পরিবেশপ্রেমী মানুষজনদের উপস্থিতিতে এই উৎসব যেন আনন্দযজ্ঞে পরিণত হয়।