বীরভূমের দুবরাজপুর সৎসঙ্গ কেন্দ্রে “ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৬ তম আবির্ভাব উৎসব” উদযাপিত হলো

শম্ভুনাথ সেনঃ

আজ ৩০ ভাদ্র ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬ তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনটি ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর দুদিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর সৎসঙ্গ কেন্দ্রে যথাযোগ্য শ্রদ্ধায় উদযাপিত হয়। সকাল থেকেই উষাকীর্তন, ঠাকুরের প্রতিকৃতি নিয়ে শহর পরিক্রমা, সমবেত প্রার্থনা সহ ঠাকুরের কাছে ভোগ নিবেদন করা হয়। “বন্দে পুরুষোত্তম” ধ্বনিতে মুখরিত হয় এলাকার আকাশ-বাতাস। আলোচিত হয় ঠাকুরের জীবনগাথা। এই অনুষ্ঠানে দুবরাজপুর শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ, কড়িধ্যা সৎসঙ্গ আশ্রমের কর্ণধার অনিল চক্রবর্তী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জীবন আদর্শ তুলে ধরেন। পরিবেশিত হয় সংগীতাঞ্জলি। দুর-দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ভক্ত-শিষ্যরা এদিন দুপুরে একসঙ্গে গ্রহণ করেন ভাণ্ডারার মহাপ্রসাদ। উল্লেখ্য, শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ছিলেন সনাতন ধর্মের একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। ১,২৯৫ বঙ্গাব্দের এমন এক ৩০ ভাদ্র তালনবমী তিথিতে বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার অদূরে পদ্মানদীর তীরবর্তী হিমাইতপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিবচন্দ্র ছিলেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। তার জননী মনোমোহিনী দেবী ছিলেন একজন স্বতীসাধ্বী রমনী। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তাঁর মায়ের কাছেই দীক্ষা গ্রহণ করেন। আজ ঠাকুরের ১৩৬ তম জন্মদিনটি দুবরাজপুর সৎসঙ্গ কেন্দ্রে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *