শম্ভুনাথ সেনঃ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন আশ্রম। ইতমধ্যেই টুইট করে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছে ইউনেস্কো। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিশ্বভারতীকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকা ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও একাধিকবার আবেদন করা হয়। সেই মত ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর দ্য ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশন্যাল সাইন্টিফিক এণ্ড কালচারাল অরগানাইজেশান (UNESCO)- এর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকেরাও। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন গৃহ, তালধ্বজ, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, আম্রকুঞ্জ, রবীন্দ্রভবন, সিংহ সদন, রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য, কালো বাড়ি, উপাসনা গৃহ প্রভৃতি ঘুরে দেখেছিলেন৷ ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কার করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন ও স্থাপত্য, ভাস্কর্যগুলি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব থেকে শুরু হয়েছে ইউনেস্কোর সমাবেশ। সেখান থেকেই এদিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিল ইউনেস্কো। ইতিমধ্যেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী তালিকায় শান্তিনিকেতন, ভারত’ লিখে ‘অভিনন্দন’ জানানো হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতন জুড়ে। ছাত্র থেকে অধ্যাপক সকল কর্মীদের মনে এক আলাদা আনন্দ। এই খবর আসতেই বিশেষ উপাসনার আয়োজন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।