সাঁইথিয়ায় জলের তলায় ফেরীঘাট

বিজয়কুমার দাসঃ

সাঁইথিয়ার উত্তরে ময়ূরাক্ষীর বুক বেঁধে গড়ে তোলা হয়েছে দুটি ফেরীঘাট। এই ফেরীঘাট দুটি সাঁইথিয়া – কান্দি রাস্তার সঙ্গে যোগাযোগের সেতু হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রথম ফেরীঘাটটি গড়ে উঠেছিল রাজ্যে বামফ্রন্ট আমলে। কিন্তু তখন কংগ্রেস শাসিত সাঁইথিয়া পুরসভার পুরপিতা ছিলেন তরুণ কুমার ঘোষ। সে সময় এই ফেরীঘাট গড়ে ওঠা নিয়ে পরিবেশ সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন উঠলেও আখেরে এই ফেরীঘাট মানুষের যাতায়াতে গ্রহণীয় হয়ে ওঠে। তালতলার মোড় থেকে ফেরীঘাট হয়ে সহজেই সাঁইথিয়া শহরে প্রবেশ করা যায়। পায়ে হাঁটা মানুষের টোল ট্যাক্স না লাগলেও সব রকমের যানবাহনের যাতায়াতে টোল ট্যাক্স দিতে হয়। দ্বিতীয় ফেরীঘাটটি গড়ে উঠেছে কয়েক বছর আগে সাঁইথিয়া -লাভপুর রূটে বোলসুন্ডা কলোনী সংলগ্ন নদীর ঘাট থেকে কোটাসুরের কিছু আগে পর্যন্ত এলাকায়।এখানেও যানবাহনের টোল ট্যাক্স লাগে। দুটি ফেরীঘাটই মানুষ ও যান চলাচলে বর্তমানে বেশ সহায়ক। কিন্তু নদির জল বাড়লেই ফেরীঘাট দুটি জলের তলায় চলে যায়। এবারেও সেই একই ঘটনা ঘটল। ২১-২২ সেপ্টেম্বর সাঁইথিয়ায় প্রবল বর্ষণের কারণে দুটি ফেরীঘাটই আপাতত জলের তলায়। যান ও মানুষ চলাচল কার্যত বন্ধ। বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফেরীঘাটের ডাক নেওয়া সংস্থার। অথচ এ বছর প্রায় সারা বছরই ময়ূরাক্ষী ছিল জলশুন্য। যদিও এই পুজোর আগেই বর্ষণে প্রতিবার বিঘ্নিত হয় ফেরীঘাটে যাতায়াত। এখন বেশ কয়েক মাস যাবৎ নতুন ব্রিজ বন্ধ।তাই তালতলা মোড়ের ফেরীঘাট ব্যবহার অনেকের কাছে যাতায়াতের নির্ভরযোগ্য পথ হয়ে উঠেছিল। বহরমপুর ও রামপুরহাটগামী বাসগুলি এই তালতলা মোড় থেকেই ছাড়ে। এখানেই অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। কিন্তু নদিতে জল বাড়ার কারণে বাসগুলি যথারীতি কোণঠাসা।জল বাড়লে বাস দাঁড়ানোর জায়গাও থাকবে না। টোটো , ট্যাক্সি, সাইকেলে সাঁইথিয়া থেকে ফেরীঘাট হয়ে তালতলা মোড়ে বা ময়ূরেশ্বর সংযোগকারী মোড়ে যাওয়া যাচ্ছে না। কোটাসুর,ময়ূরেশ্বর থেকে সাঁইথিয়ায় পুজোর আগে বাজার করতে আসতে পারছে না অনেকেই। সমাধানের বিকল্প পথও নেই।তাই বিপন্নতা বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও ছোট বড় ব্যবসায়ীদের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে টোটোচালকরা।

বর্ষণের আগে ময়ূরাক্ষী

বর্ষণের পরে ময়ূরাক্ষী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *