শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের অন্যতম তীর্থভূমি তারাপীঠ থেকে প্রকাশিত আহেলী পত্রিকার উদ্যোগে ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলো শারদীয়া কবিতা উৎসব। তারামায়ের মন্দির সংলগ্ন তারাতীর্থ বিদ্যামন্দিরে বসে সারাদিনের অনুষ্ঠান। তারাপীঠ শ্রীরামকৃষ্ণ মহামন্ডলের স্বামী হংসানন্দ মহারাজের হাত ছুঁয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এদিন গুরুশরণ ব্যানার্জীর সম্পাদনায় “আহেলী” পত্রিকার ১৩ তম বর্ষের শারদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহ অধিকর্তা মানস দাস, তারামাতা সেবায়েত সংঘের বর্তমান সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, কবি ও লোক গবেষক ড.আদিত্য মুখোপাধ্যায়, কবি তৈমুর খান, অতনু বর্মন প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন উপস্থিত কবি সাহিত্যিকরা। উল্লেখ্য, এদিন তারাপীঠের প্রয়াত কবি চন্ডীচরণ রায়ের স্মৃতিতে মরণোত্তর সম্মান তুলে দেওয়া হয় তাঁর স্ত্রী রাধারানী রায়ের হাতে। জীবন কৃতি সম্মানে সম্মানিত করা হয় স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক নলিনী বেরা ও কবি মৃদুল দাশগুপ্তকে। ছড়াকার আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়কে এবছরের আহেলী সাহিত্য সম্মান আশানন্দন চট্টরাজ স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়। কবিয়াল লম্বোদর চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার পান জেলার গীতিকার সুরকার রতন কাহার। এছাড়াও শিল্প ও সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মোট ১০ জনকে আহেলি স্মারক সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। জেলা ও ভিন জেলার অন্তত ২০০ জন কবি সাহিত্যিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।