
দীপককুমার দাসঃ
সিউড়ির বারুইপাড়ার অধিকারী পরিবারের লক্ষ্মী পুজো শতাব্দী প্রাচীন। ১৪০৩বঙ্গাব্দে একবার মন্দির সংস্কারের পর এবার আবার সংস্কার করা হয়েছে। মেঝেতে বসানো হয়েছে ঝাঁ চকচকে টাইলস্। ঝোলানো হয়েছে নজরকাড়া ঝাড়বাতি। দ্বিতীয় বার সংস্কারের পর আগামী কাল সন্ধ্যায় কোজাগরী লক্ষ্মী দেবীর পুজো হতে চলেছে। এখানে পুজো হয় চারদিন ধরে। পাঁচ পুরুষের পুজো এমনই ধারণা অধিকারী পরিবারের বর্তমান সদস্যদের। তবে কে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন এমন নির্দিষ্ট তথ্য জানা নেই তাদের। তবে আশুতোষ অধিকারী, সুদীনেশ অধিকারী ও পূর্ণচন্দ্র অধিকারীর উদ্যোগে এই পুজোর জৌলুস বৃদ্ধি পায়। পরে তাদের সন্তান সন্ততিরা বর্তমানে পালাক্রমে এই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকারী পরিবারের এক সদস্য কল্যাণ অধিকারী বলেন, এই পুজো আনুমানিক ১৭০বছরের প্রাচীন। এক চালির প্রতিমা। লক্ষ্মীর দুপাশে থাকে জয়া ও বিজয়া। এখানে লক্ষ্মী সাদা ঐরাবত অর্থাৎ সাদা হাতির উপর দন্ডায়মান। এক সদস্যা মায়াবতী অধিকারী বলেন, এখানে চারদিন ধরে পুজো হয়। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন চিঁড়ে, নারকেল ও ফল ভোগ দেওয়া হয়। আর অন্নের ভোগে মুগের ডাল ও কলাই এর ডাল এই দুই ডালের দুই রকম খিঁচুড়ি থাকে। এছাড়া দুরকম তরকারি, সাত রকম ভাজা, চাটনি, পায়েস, পিঠে, মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয় মা লক্ষ্মীকে। অধিকারী পরিবারের যারা বাইরে থাকেন তারাও এই পুজোয় চলে আসেন এখানে। পরিবারের সকলে মিলে চারদিন মেতে উঠেন লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে।