“বিশ্ব ঐতিহ্য” ফলকে নাম নেই কবিগুরুর! বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ শান্তিনিকেতন বাসিন্দাদের

শম্ভুনাথ সেনঃ

ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ! অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস রাজ্যপালের৷ এই খবর প্রকাশের পরেই বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি এসোসিয়েশনের তরফে প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালকে ইমেল মারফৎ অভিযোগ জানানো হয়৷ রাজভবন থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত রাজ্যপাল হলেন বিশ্বভারতীর রেক্টর বা প্রধান। তাই প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে কি তাঁর নাম ফলকে ব্যবহার করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখবেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ অর্থাৎ ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। যা নিয়ে খুশির হাওয়া সর্বত্র৷ কিন্তু, সম্প্রতি রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ, গৌরপ্রাঙ্গণ প্রভৃতি জায়গায় শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ইউনেসকোর খোদাই করা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট”। নীচে নাম দেওয়া রয়েছে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। এই ফলকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামই নেই৷ এমন ফলক লাগানোর পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে সরব হয়েছেন আশ্রমিক থেকে পড়ুয়া, শিক্ষাবিদ, ঠাকুর পরিবারের সদস্য এমনকি রাজনীতিকরাও। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও রাজ্যপাল তথা বিশ্বভারতী রেক্টর সিভি আনন্দ বোসকে ইমেল মারফৎ অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি এসোসিয়েশন। রাজভবন থেকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে পাল্টা ইমেল পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *