শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমার মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বীরভূমের “ঘোষগ্রাম” লক্ষ্মীমাতার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এবারেও এখানে কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে মহা ধুমধামে মালক্ষ্মীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষ গ্রাম সন্নিহিত খামেড্ডা, ঝিকরহাটি, আওগ্রাম, বীরচন্দ্রপুর, তুড়িগ্রাম রাঙতড়া, সনকপুর উপলাই এমন সব বিভিন্ন গ্রাম থেকে মা ও মেয়েরা লক্ষ্মী পূজার নিমিত্তে বিকেল থেকে হাজির হয়। রাতে অন্তত দেড় হাজার ভক্ত-পূর্ণার্থীরা খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, এখানকার পূজা জেলার বুকে সবচেয়ে প্রাচীন লক্ষ্মীপূজা। জনশ্রুতি এই ঘোষগ্রামে অন্তত এক হাজার বছর ধরে এই লক্ষ্মীপূজা হয়ে আসছে। বর্তমান দৃষ্টিনন্দন লক্ষ্মীমাতার মন্দিরটি ২০১৮ সালে ভক্তদের দানে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। তার আগে ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে কান্দির রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ ওরফে লালাবাবু এখানে লক্ষীমায়ের মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। জেলার বিশিষ্ট লেখক গবেষক প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এর “তীর্থভূমি তারাপীঠ” গ্রন্থের ৩৩০ পাতায় সে কথার উল্লেখ রয়েছে। উল্লেখ্য, এখানে লক্ষ্মীমায়ের নিম্বকাষ্ঠে তৈরি দারুমূর্তি। নির্দিষ্ট সময়ে মায়ের মূর্তিতে অঙ্গরাগ করা হয়। তাই এ ই মূর্তি বিসর্জন করা হয় না। বছরভর অর্থাৎ ৩৬৫ দিন মায়ের নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হয়।