কালীপুজোয় ডাকের সাজ, চাঁদমালা নির্মাণে ব্যস্ত এখন বীরভূমের খয়রাশোলের নিচিন্তা গ্রামের শোলাশিল্পীরা, এখন তেমন লাভ নেই, তবুও ধরে রেখেছে পরম্পরা

শম্ভুনাথ সেনঃ

কালীপুজো দোরগোড়ায়। মাত্র আর একদিন পর আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে শ্যামাপূজা। রং, তুলি নিয়ে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা যেমন মৃৎশিল্পীদের, তেমনি শোলা শিল্পীদের এখন আর একদম ফুরসত নেই। বীরভুমের খয়রাশোল ব্লকের নিচিন্তা গ্রামের মালাকারদের সেই ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের সেরা সাপ্তাহিকি “নয়াপ্রজন্ম” পত্রিকার ওয়েবসাইটের পাতায়। এই কালীপুজোর অপেক্ষায় বছরভর তারা দিন গোনেন। তাদের তৈরি ডাকের সাজ, চাঁদমালা চলে যায় ভিন জেলায়, ভিন রাজ্যে। এই সময়েই দুটো বাড়তি কাঁচা পয়সার মুখ দেখতে পান এই শোলাশিল্পীরা। বীরভূমের সিউড়ি, রামপুরহাট, খয়রাশোল, রাজনগর ব্লকেই বেশি মালাকার সম্প্রদায়ের বাস। পুজোর সময় বাড়ে মালীপাড়ায় ব্যস্ততা। সকাল থেকে পুরুষদের সাথে কাজে লেগে পরে বাড়ির মা-মেয়েরাও। কেউবা শোলা কেটে কারুকার্য করে, কেউবা জরি, চুমকি রং বেরঙের আর্ট পেপার কেটে, আঠা দিয়ে তৈরি করে রং-বেরং এর ডাকের সাজ, মাটির তুবড়ি, আতশবাজি, গ্রীন বাজি, রোশনায়! এখন এই কুটিরশিল্পে তেমন লাভ নেই! শিল্পীদের কথায় হতাশার সুর! তবুও কিছু শিল্পীরা পরম্পরায় ধরে রেখেছে “বীরভূমের এই শোলাশিল্প”। সে কথায় জানিয়েছেন খয়রাশোল ব্লকের নিচিন্তা গ্রামের মানিক মালাকার, অপ্সরা মালাকার, প্রীতি মালাকারেরা। এখনকার যুবসমাজ এই শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নিচিন্তা গ্রামের পরেশ মালাকার, পার্থ মালাকার, হেমন্ত মালাকারেরা এখনো ধরে রেখেছেন তাদের পুরনো ঐতিহ্য—- পরম্পরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *