এবারও শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ, বীরভূম জুড়ে যেন বিষাদের সুর

শম্ভুনাথ সেনঃ

যেন তীরে এসে তরী ডোবা! মূলতঃ সময়ের অভাবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী “পৌষমেলা” বন্ধ হল। বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষজন।
প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অবসর গ্রহণের পর পৌষমেলা নিয়ে আশার আলো দেখেছিলেন পড়ুয়া, অধ্যাপক থেকে দেশ-বিদেশের পর্যটক সহ বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। আজ ৪ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বৈঠকের পর শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ হয়। বিশ্বভারতী থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিদায় নেওয়ার পরই এবার পৌষমেলার আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়। তবে সময়ের অভাবটিও বিবেচনার মধ্যে ছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট উভয় পক্ষই বৈঠকে এবার মেলার পক্ষেই মত দিয়েছিল। তবে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি সেরে এই অল্প সময়ে আদৌ মেলা করা সম্ভব কি-না তা নিয়ে ছিল সন্দিহান। শেষ পর্যন্ত সেই সময় অভাব এবং পরিকাঠামো গত সমস্যায় এবছরও মেলা বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শেষবার পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুরু হয় রাজ্য সরকারের সংঘাত। তা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সিদ্ধান্তে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস, এমনকি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, পড়ুয়া, আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীরাও। ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা বন্ধ করে দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। যদিও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে এই দু’বছর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়৷
তবে এবার মেলা অবশ্যই হচ্ছে এমনই আশা নিয়ে দিন গুনছিলেন রাঙামাটির মানুষজন। তবে আজকের বিজ্ঞপ্তিতে সে আশায় জল ঢেলেছে উভয় কর্তৃপক্ষ। আর সেকথা সাংবাদিকদের মুখোমুখি জানিয়েছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কুমার—-!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *