শম্ভুনাথ সেনঃ
পৌষমেলা করার দাবিতে বিক্ষোভ বাংলা সংস্কতি মঞ্চ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির৷ গত ৫ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। দিনভর উত্তাল ছিল শান্তিনিকেতন। যাদিও, কার্যালয়ে নেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথভাবে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪ ডিসেম্বর জানিয়ে দিয়েছিল সময় ও পরিকাঠামোর অভাবে এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শেষবার শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিদ পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা৷ কিন্তু, পরবর্তীতে, অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেয়৷ যা নিয়ে বিক্ষোভ হয় শান্তিনিকেতন জুড়ে৷ ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই আশা করেছিল এবার হয়তো পৌষমেলা হবে৷ কিন্তু শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেলা বন্ধ করে দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে৷ পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি হোল্ডিং লাগিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার প্রথম বলাকা গেট ভেঙে বিক্ষোভকারীরা ভিতরে ঢোকে৷ পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে চলে বিক্ষোভ। পৌষমেলা করতে হবে এই দাবিতে দিনভর চলে বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।
বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “পৌষমেলা করতে হবে৷ কেন বন্ধ করা হল মেলা৷ আমাদের সঙ্গে কেন উপাচার্য কথা বলছেন না। এই মেলা আমাদের সবার আবেগ। ইচ্ছাকৃত ভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতীর উপর বিক্ষোভকারীরা তোপ দাগেন। এদিন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর কাছে লিখিত স্মারকলিপি জমা দেন।