শম্ভুনাথ সেনঃ
এবারও শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ এবং তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বীরভূম জেলা প্রশাসন বিকল্প পৌষমেলা করবে৷ আজ ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায় ও জেলা সভাধিপতি ফায়জুল শেখের তত্ত্বাবধানে বোলপুরে একটি বৈঠক হয়৷ তাতে সিদ্ধান্ত হয় পূর্বপল্লীর ঐতিহ্যবাহী মাঠেই মেলার আয়োজন করার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করবে রাজ্য সরকার৷ মাঠ না পেলে, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো মাঠেই হবে বিকল্প পৌষমেলা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর আর হয়নি শান্তিনিকেতন পৌষমেলা৷ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষের পর এবার সকলেই আশা করেছিলেন এবার পৌষমেলা হবে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলা না হওয়ায় পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক, ব্যবসায়ী সমিতি তথা সারা জেলার মানুষ সকলেই হতাশ৷ তাই বীরভূম জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বিগত দু বছরের মতোই এবারও তারা বিকল্প পৌষমেলা করবে৷ সেই মত এদিন বোলপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সভাকক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সমাহর্তা বিধান রায়, জেলা সভাধিপতি ফায়জুল সেখ, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎ কুমার দে, এসডিপিও নিখিল আগরওয়াল, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। আহ্বান জানানো হয়েছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চকে৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা শাসক বিধান রায় জানান, বিকল্প পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতীর কাছে পূর্বপল্লীর মাঠ চেয়ে আবেদন করা হবে৷ মাঠ পাওয়া গেলে সেখানেই হবে মেলা। মাঠ না পাওয়া গেলে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠেই হবে বিকল্প পৌষমেলা। যেমনভাবে গত দুই বছর এই মাঠেই বিকল্প পৌষমেলা হয়েছিল৷ এই “বিকল্প পৌষমেলা” সেই নির্দিষ্ট দিনেই ৭ পৌষ থেকেই শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।