
শম্ভুনাথ সেনঃ

৯ ডিসেম্বর বীরভূম জেলা স্কুলের জন্মদিন। এবারও এদিন ১৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই উদযাপিত হয়। উল্লেখ্য, পরাধীন ভারতে ১৮৫১ খ্রীস্টাব্দের এমন এক ৯ ডিসেম্বর বীরভূমের সদর সিউড়ির বুকে শুরু হয়েছিল এই সরকারী স্কুলের পথচলা। দেখতে দেখতে ১৭২ বছর পেরিয়ে ১৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবারও যথোচিত মর্যাদায় উদযাপিত হয়। বর্তমান ছাত্র ও প্রাক্তনীদের মহামিলনে বীরভূম জেলা স্কুলের প্রাক্তনী তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিবনাথ চট্টোপাধ্যায় ও স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মজিবুর রহমানের হাত ছুঁয়ে বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলিত হয়। এই আনন্দঘন মিলন উৎসবে নানা স্মৃতিকথা তুলে ধরেন বক্তরা। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের অন্যতম আর এক প্রাক্তনী সুশান্ত রাহা। এদিন সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কেটে বিদ্যালয়ের জন্মদিন পালিত হয় সাড়ম্বরে। জেলা স্কুলের বহু স্মৃতি বিজড়িত, অতীতের বহু সাক্ষী বহন করা সেই ঐতিহ্যবাহী নিমগাছের বেদীতে ছাত্ররা জ্বালিয়ে দেয় মোমবাতি। রং বেরঙের আলোকমালায় সেজে ওঠে গোটা স্কুলভবন। প্রসঙ্গত এই বিদ্যালয়ে প্রি প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ১২৫০। এ তথ্য জানান বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক চন্দন সাহা। সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে অতীতের গৌরব পাথেয় করে উজ্জ্বলতম ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার গর্ব ও অনুভবের কথা ব্যক্ত করেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর দুপুরে প্রাক্তনীদের সম্মেলন ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৭৫ বছর পূর্তি উৎসব সাড়ম্বরে উদযাপিত হবে বলে সভার মধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাক্তনী সুশান্ত রাহা। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তনীদের মধ্যে শিবনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রীতম চক্রবর্তী, স্বরূপ চৌধুরী, বিশ্বজিৎ মুখার্জি প্রমুখ।
