শম্ভুনাথ সেনঃ
এই প্রথম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর সেই ঐতিহ্যবাহী মাঠেই হবে বিকল্প পৌষমেলা। বহু টানাপোড়নের পর গতকাল ১২ ডিসেম্বর বোলপুর প্রসাশনিক ভবনে জেলা প্রশাসনের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাহর্তা বিধান রায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর সহ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, শ্রীনিকেতন উন্নয়ন পরিষদের সদস্য, বোলপুর পুরসভা, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি বিভিন্ন ব্যক্তিত্বরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৪-২৮ ডিসেম্বর এই পাঁচ দিন হবে বিকল্প পৌষ মেলা। তবে এই বৈঠকে নির্দিষ্ট চেয়ার না থাকার কারণে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল সেখ। যদিও এই বিষয় নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
বৈঠকে জেলাশাসক বিধান রায়ের এক পাশে সিউড়ীর বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী আরেক পাশে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। জেলাশাসকের পাশে নিজের আসন না পেয়ে রেগে বেরিয়ে যান সভাধিপতি। অবশ্য তাঁকে ছাড়াই বৈঠক চলে। ঠিক হয়, পূর্বপল্লির মাঠেই ফিরছে পৌষমেলা। তবে প্রথমেই এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে তাল কাটে বৈঠকের। উল্লেখ্য, সময় অভাবে পৌষমেলা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের এই সিদ্ধান্তের পর জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, বিকল্প পৌষমেলা হবে। তবে পূর্বপল্লীর মাঠ নাকি ডাকবাংলোর মাঠ এই নিয়ে দোটানায় ছিলেন জেলা প্রশাসন। তবে গতকাল বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় সবকিছু শর্ত মেনে পূর্বপল্লীর মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে বিকল্প পৌষমেলা।