শম্ভুনাথ সেনঃ
বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের শ্রীনিধিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এলাকার অভিজ্ঞ গ্ৰামীন স্বাস্থ্য পরিষেবক, আশা কর্মী ও অন্যান্য সরকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতিতে আজ ১৩ ডিসেম্বর “কালাজ্বরে’র” উপর একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা কালা জ্বরের লক্ষণ তার প্রতিরোধের বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। আসলে কালাজ্বর লিশম্যানিয়া গণভুক্ত এক প্রকার প্রোটোজোয়া পরজীবী এই রোগটি ঘটায়। বেলেমাছির কামড় দ্বারা এটি বিস্তার লাভ করে। পরজীবী-ঘটিত রোগগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয় প্রাণঘাতী রোগ। ম্যালেরিয়ার পরেই এর স্থান। পরজীবীটি মানুষের যকৃত, প্লীহা এবং অস্থি মজ্জাতে সংক্রমন ঘটায় এবং দ্রুত চিকিৎসা না দিলে মৃত্যু প্রায় অবধারিত। সাধারণত এই রোগের লক্ষণ হলো জ্বর, ওজন হ্রাস, ক্ষত, অবসাদ, রক্তাল্পতা, চামড়া কালচে হওয়া এবং যকৃৎ ও প্লীহার ব্যাপক আকার বৃদ্ধি। প্রখ্যাত ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী ১৯২২ সালে এই কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার করেন। এদিন এই আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক চিকিৎসক শ্যামল ভট্টাচার্য, সিনিয়র নার্স মৌমিতা পাল, টেকনিশিয়ান সুপারভাইজার অভিষেক ঘোষ, হেল্থ ইন্সপেক্টর মধুসূদন চক্রবর্তী সহ রুরাল মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি শেখ সফি সাহেব। গ্ৰামাঞ্চলে কালা জ্বরের লক্ষণ, প্রতিষেধক বিষয় এর সঙ্গে যাবতীয় রক্ত পরীক্ষার কথা বলেন বক্তারা। এমন কোনরূপ লক্ষণ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নজরে আনার জন্য সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়।