সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূমের বগটুই কান্ডে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বগটুই কান্ডকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে আসেন স্বজনহারানোদের সমবেদনা জানাতে, পাশাপাশি এখানে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই রাত্রেই রামপুরহাট এক নম্বর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ আনারুল হোসেন এর জায়গায় সৈয়দ সিরাজ জিম্মি কে ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বজনহারানোদের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেন সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। পড়ুয়াদের কোচিং, পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের রামপুরহাট নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। শাসকদল বগটুই কান্ডের নিহত পরিবারের জন্য বিভিন্ন দফতরে চাকরি, বাড়ি নির্মাণ সহ সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলও বগটুই সহ অন্যান্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের হারানো জমি উদ্ধার করতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। অনুরূপভাবে রবিবার সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটির ডাকে বগটুই গন হত্যাকান্ডের বিচার ও খুনিদের শাস্তির দাবিতে রামপুরহাট শহরে মহামিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মিছিলে শ্লোগান ওঠে আনিস খানের হত্যার বিচার, হাঁসখালি, লাভপুর, ইলামবাজার সহ সর্বত্র নারী ধর্ষণ, লুঠ, তোলাবাজি, বালি, কয়লা, পাথর, বগটুই গনহত্যা ইত্যাদির প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে মিছিল। এই নৈরাজ্যের অবসান চাই, “রাস্তাই একমাত্র রাস্তা”–এই শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল রামপুরহাট শহর পরিক্রমা করে। এরপর এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত নেতৃত্ব। মিছিলের অগ্রভাগে এবং সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহঃ সেলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ রামচন্দ্র ডোম, সিপিআইএম জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ, মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সম্পাদক জামির মোল্লা, মহিলা নেত্রী কনিনিকা ঘোষ প্রমুখ।