“সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা নাভিশ্বাস হয়ে যাচ্ছে”- মহিলা নেত্রী জাহানারা খান

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

চলতি মাসের ৬ তারিখ মাঠে ধান চাষের কাজ করতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চারজন মহিলা শ্রমিকের। ১১ ফেব্রুয়ারী, রবিবার রামপুরহাটের চিতুড়ি গ্রামে দুর্ঘটনায় নিহত ক্ষেতমজুর মহিলাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য নেত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী জাহানারা খান। এছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন পারমিতা সেন, নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান, কেনিজ রবিউল ফাতেমা, তৃপ্তি মন্ডল, শান্তু লেট সহ পার্টির নেতৃত্ব সঞ্জীব মল্লিক, অমিতাভ সিং প্রমুখ। মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভানেত্রী জাহানারা খান এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, গ্রামে কাজ না থাকায় পরিবার চালানোর জন্য অন্যত্র কাজে যাবার পথে চারজন মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং নয় জন আহত হন। এই পরিবারগুলো খেতমজুর পরিবার। এই পরিবারগুলোর পাশে থাকার জন্য এবং সহানুভূতি জানাতেই মূলত আজকে আশা এই গ্রামে। যদি গ্রামে কাজ থাকতো, যারা গায়ে গতরে খেটে পরিশ্রম করে পরিবার চালায়, তাহলে তাদেরকে আজ এইভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হতো না। কারণ তাদের বয়সও হয়নি এবং তাদের এই সময় যাওয়ারও কথা না। তৃণমূল সরকার মানুষকে কাজ দিতে পারছে না। কাজ না পাওয়ার জন্য, পরিবার চালানোর জন্য ক্ষেতমজুর শ্রমিকরা আজ পরিযায়ী শ্রমিকে পরিণত। শুধু এখানে না, ভিন রাজ্যে ও কাজে গিয়ে মারা যাচ্ছে দুর্ঘটনাবশতঃ। তাদের নিথর দেহ ফিরে আসছে রাজ্যে, যাহা দুঃখজনক ঘটনা।কাজ না পাওয়ার কারণ কি? আগে তো এমন ছিল না। এর জন্য দায়ী কে? এই সরকার দুর্নীতিতে ভরে গেছে আপাদমস্তক। প্রত্যেকটা জায়গাতে দুর্নীতি, যার জন্য সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার নাভিশ্বাস হয়ে যাচ্ছে।পাশাপাশি সন্দেশখালি মহিলাদের বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন এবং তীব্র ধিক্কার ও নিন্দা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *