চন্দন চট্টোপাধ্যায়ঃ
‘তারাশংকর স্মৃতি সাহিত্য সমাজ’-এর ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়ে গেল গত ১৭ এপ্রিল, সিউড়ি রামকৃষ্ণ সভাগৃহে। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে প্রায় শতাধিক দর্শকের সমাবেশ এবং বিষয় বৈচিত্র্যে এই অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল আকর্ষণীয়। সংস্থার পক্ষে বিপিন মুখোপাধ্যায়ের প্রারম্ভিক ভাষণ এবং সপার্ষদ অলোকা গাঙ্গুলীর গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া সভার প্রথম পর্বে তারাশংকর স্মারক বক্তৃতায় অংশ নেন তারাশংকর-পৌত্র সৌম্যশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ রায়। সভায় সংস্থার মুখপত্র ‘অরণ্য অগ্নি’ সাহিত্য পত্রিকার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে। এছাড়া ‘তারাশংকর স্মৃতি স্মারক সম্মান’ দেওয়া হয় বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও অনুবাদক সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত পুষ্পিত মুখোপাধ্যায়কে। তারাশংকর স্মৃতি পুরস্কার’ লাভ করেন পার্থপ্রদীপ সিংহ। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে হয় গান, কবিতা ও গল্প পাঠ। অংশ নেন শর্মিষ্ঠা দত্ত, শ্যামাশ্রী মুখোপাধ্যায়, বিনয় হাজরা, সরোজ কর্মকার, সুস্মিতা অধিকারী, নিতাই প্রসাদ ঘোষ, পলাশ বর্মন, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, কুনাল কিশোর রায়, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চক্রবর্তী, সুস্মিতা বিশ্বাস, ড. পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। দুই পর্বেই সঞ্চালক ছিলেন সুশান্ত রাহা। সংস্থার সম্পাদক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রাঙামাটির গর্ব তারাশংকরের সাহিত্য চিন্তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।’