দীপক কুমার দাস
সিউড়ির থিয়েটার অভিযানের ৫৫তম বর্ষ উপলক্ষে সিউড়ির জোনাকী মঞ্চে আয়োজন করা হয় দুদিনের নাট্য উৎসবের। কাঞ্চন সরকারের নামাঙ্কিত মঞ্চে ময়ূরাক্ষী নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয় শনিবার ও রবিবার। শনিবার এই নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।এরপর প্রীতিকণা ভট্টাচার্য এর সঙ্গীত পরিচালনায় সিউড়ি সুরনিকেতনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব সুবিনয় দাসের একাঙ্ক নাট্য সংকলন প্রকাশ করা হয়।সাঁইথিয়া আসর নাট্যমের গণশত্রু নাটক দিয়েই মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।এরপর থিয়েটার অভিযানের জীবনের পথে নাটক মঞ্চস্থ হয়।ইলোরা নাট্যগোষ্ঠী কতই রঙ্গ দেখবো দুনিয়ায় মঞ্চস্থ করে।প্রথমদিন মোট তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হয় এবং ম্যাজিক শো হয়। রবিবার সিউড়ির সুরঙ্গনা গোষ্ঠীর সমবেত সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।এরপর দুবরাজপুরের একলব্য নাট্যদল মধুসূদন কুন্ডুর নির্দেশনায় পরিবেশ এক নাটক মঞ্চস্থ করে। উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় লাভপুরের বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী শকুন্তলা নাটক মঞ্চস্থ করে।এরপর থিয়েটার অভিযানের কর্ণধার সুবিনয় দাসের রচিত ও অভিনীত নাটক লড়াই ভোলেনি নাটক মঞ্চস্থ হয়।পরিশেষে সিউড়ির ইয়ং নাট্য সংস্থা নির্মল হাজরার নির্দেশনায় হল্লাবোল নাটক মঞ্চস্থ করে। নাট্য অনুষ্ঠানের মাঝে বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায় ও বিশিষ্ট ছড়াকার আশীষ কুমার মুখোপাধ্যায়কে থিয়েটার অভিযানের পক্ষ থেকে সম্মাননা ঞ্জাপন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সঞ্চালক সুশান্ত রাহা।গরম উপেক্ষা করে দুদিন নাট্যপ্রমী দর্শকরা ভিড় করেন সিউড়ির জোনাকী রঙ্গমঞ্চে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে থিয়েটার অভিযানের কর্ণধার সুবিনয় দাস বলেন,বিগত দুবছর ধরে কোভিডে প্রায় সবদলের নাট্যচর্চা বন্ধ থাকলেও আমরাও অনলাইনের মাধ্যমে নাট্যচর্চা বজায় রেখেছিলাম।আর এবারে দুবছর পরে আবার নাট্য উৎসব আয়োজন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।সিউড়ি,সাঁইথিয়া, লাভপুর, দুবরাজপুর, বোলপুরের কয়েকটি নাটক দলকে নিয়ে এই নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছিলাম। এবারের এই ময়ূরাক্ষী নাট্য উৎসব যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে নাট্যপ্রেমীদের মধ্যে।