সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূমের পাড়ুই থানার অধীন খুষ্টিগিরীতে মহামানব সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানীর ৪৭৭তম ঊরস মোবারক উপলক্ষে পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি সেইসাথে বসেছে সম্প্রীতির মেলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্বশান্তি কামনায় শুভ্র নিশান উত্তোলন করা হয়। এরপর দৈনন্দিন কর্মসূচি অনুযায়ী রয়েছে ফাতেহা পাঠ,চাদর পোশী, মাজার শরীফ জিয়ারত,ধর্মীয় জলসা, কোরান শরীফ পাঠ, কেরাত পাঠ, নাত শরীফ, সত্যপীর, উর্দু কাওয়ালী, মুর্শিদী গান ও মানবধর্মী বাউল সংগীত। বিশ্ব বিস্রুত বাংলার সুপ্রসিদ্ধ সুফি ও সাধক হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল্লাহ কেরমানি নেজামী চিশতী(রা.আ.)র ঊরস মোবারক প্রতি বছর বাংলা ১১ থেকে ১৫ ফাল্গুন পাঁচ দিন ব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়ে থাকে। এখানে বীরভূম, মুরশিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিন চব্বিশ পরগনা সহ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামতাড়া, দেওঘর, দুমকা প্রভৃতি জেলা থেকে অগনিত ভক্ত সমাগম ঘটে। জানা যায়, আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক বছর আগে এক মহামানবের আগমনে ধন্য হয়েছিল এই বঙ্গভূমি। চতুর্দিকে তাঁর অসাধারণ খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল সূর্যের জ্যোতির ন্যায়। এই মহান সুফি সাধক বিভিন্ন জায়গায় পরিভ্রমণের পর তৎকালীন বীরভূমের সেনভূম পরগনার জঙ্গলে এসে উপনীত হন। যা এখন খুষ্টিগিরি দরগা শরীফ নামে পরিচিত। তিনি বয়ে আনেন নিঃস্ব ও নির্যাতিত মানুষের জন্য মুক্তির বার্তা। পথ হারা মানুষের জন্য সঠিক পথের সন্ধান। দুর্ভাগা মানুষের জন্য সৌভাগ্যের পরশমণি। এই মহামানব ছিলেন হযরত মুহাম্মদ এঁর বংশধর। শহীদ শ্রেষ্ঠ হযরত ইমাম হোসেন (আ.) এর তপ্ত তাজা খুনের উত্তরাধিকারী। সবথেকে বড় পরিচয় তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর জবরদস্ত ওলী। আজও সেই মহাপুরুষ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার কাছে বাবা শাবদুল্লাহ কেরমানী নামে অমর হয়ে আছেন। এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি শোনালেন মাজার শরীফের শীর্ষ সেবক তথা মোতাওয়াল্লী ও সাজ্জাদানশীন সৈয়দ শাহ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান কেরমানী নেজামী চিশতী।