তারাশঙ্করের স্মৃতি বিজড়িত লাভপুর ফুল্লরা মহামেলা এবছর পড়লো ১২৫ বছরে

মেহের সেখঃ

১৩০৬ বঙ্গাব্দের মাঘী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়েছিল লাভপুরে মা ফুল্লরা মহাপীঠের মহামেলা। মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি বছর নিয়ম করে একই সময়ে লাভপুরে ফুল্লরা মহামেলা বসে। চলে দশ / পনেরো দিন। প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত কয়েকদিন ধরে চলা মা ফুল্লরা মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জীবনের বহু ঘটনার সাথে যেমন জড়িয়ে রয়েছে মা ফুল্লরা মহাপীঠ ও মা ফুল্লরা মহামেলার নাম তেমনি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক সাহিত্য ক্ষেত্রে লাভপুরের মা ফুল্লরা মহামেলার উল্লেখ রয়েছে। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কবি’ উপন্যাসে লিখেছেন–“মাঘী পূর্ণিমায় চামুণ্ডার পূজা বিশিষ্ট একটি পর্ব। এই পর্ব উপলক্ষে এখানে মেলা বসে। এই মেলায় কবিগানের পালা হইবার কথা।” লাভপুরের মা ফুল্লরা মেলা উপলক্ষে অনেক দোকান বসে। হাতের কাজের পসরা নিয়ে লোকশিল্পীরা যেমন মেলায় হাজির হন তেমনি লোকায়ত বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীর দলও মেলায় আসেন। এবছর লাভপুর ফুল্লরা মহামেলা ১২৫ বছরে পড়লো। ২৪ ফেব্রুয়ারি লাভপুর ফুল্লরা মহামেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, লাভপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুন চক্রবর্তী, সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতুস্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্যকার ও অভিনেতা মহাদেব দত্ত, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আব্দুল মান্নান, শোভন চৌধুরী, সালাম সেখ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *