সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
আসন্ন লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে প্রখর রৌদ্রের তাপপ্রবাহ ততোধিক বাড়ছে। সাথে সাথে রাজনৈতিক বক্তব্যের তীব্রতা ও ততোধিক ঝাঁঝালো হয়ে উঠছে। তবে রাজনৈতিক ময়দানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই নিজেদের ফাঁকফোকর পূরণের লক্ষ্যে কাঠফাটা রৌদ্রজ্জ্বল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে জনসংযোগ থেকে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠের মধ্যে যুযুধান সব পক্ষ। সেরূপ আজ শনিবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বাম- কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মিল্টন রশিদ এর সমর্থনে খয়রাশোল ব্লকের দশটি অঞ্চল থেকে বাম কংগ্রেস জোটের কর্মীদের নিয়ে সি পি এমের খয়রাসোল এরিয়া পার্টি অফিসে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মিলটন রশিদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শীতল বাউরি, খয়রাসোল লোকাল কমিটি সম্পাদক দিলীপ গোপ, সদস্য বিমল ঘোষ, শিবদাস বাউরি, ব্লক মহিলা কংগ্রেস সভাপতি রত্না সেন, খয়রাশোল ব্লক কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক আব্দুল নঈম, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাকির খান সহ বাম কংগ্রেস জোট কর্মীবৃন্দ। জোট প্রার্থী মিলটন রসিদ বিরোধী দলের প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন তৃনমূল ও বিজেপির প্রার্থীরা বহিরাগত। আমি জেলার ভূমিপুত্র। অতএব ভূমিপুত্র হিসেবে জেলাবাসীর কাছে অনুরোধ বহিরাগতদের অপমান করবেন না, বিক্ষোভ দেখাবেন না। বরংচ পারলে ডিমের পোচ এবং জল খাওয়ান। অতিথি হিসেবে সম্মান করবেন। তৃনমূল প্রার্থী শতাব্দী প্রসঙ্গে বলেন উনি দীর্ঘ পনেরো বছর সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আসছেন কিন্তু জেলায় সে অর্থে তিনি কিছু উন্নয়ন করতে পারেননি। যার জেরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। এতদিন জ্বালাতন সহ্য করেছেন সেহেতু আর কয়েকটি দিন অপেক্ষা করে নির্বাচনে হাসিমুখে বিদায় জানিয়ে দেন। আর জীবনে কোনদিন তারা যেন বীরভূমের মধ্যে না আসেন।