শম্ভুনাথ সেনঃ
অতীত এবং বর্তমান বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ৯ এপ্রিল বীরভূমের মল্লারপুর টুরকু হাঁসদা লপসা হেমরম মহাবিদ্যালয়ে। কলেজের সাঁওতালি বিভাগ এবং অভ্যন্তরীণ গুণমান নিশ্চিতকরণ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এবং স্থানীয় মল্লারপুর শ্রী রামকৃষ্ণ সত্যানন্দ আশ্রম এবং নঈসুভা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ সহযোগিতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন এই সভায় মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একমাত্র জনজাতি আইনজীবী প্রভাত টুডু। তিনি বাংলাদেশের সাঁওতাল আদিবাসীদের ব্যবহারিক আইন ও বাস্তবতা প্রেক্ষিত নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। আজকের আলোচনায় সূচক ভাষণ প্রদান করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ডঃ সুশিল কুমার হাঁসদা। তিনি সাঁওতাল সংস্কৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেন। এদিন মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর সাঁওতালি বিভাগের প্রধান ডঃ দুখিয়া মুর্মু এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের প্রধান যোগেন্দ্রনাথ মুর্মু। তাঁরা তাঁদের আলোচনায় সাঁওতাল জনজাতির জীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানান দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে গৌরবময় অতিথির আসন অলংকৃত করেন সাঁইথিয়া শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী ধ্রুবানন্দ মহারাজ সহ অন্যান্য মহারাজরা। তাঁরা বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ এর মাধ্যমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মল্লারপুর নৈসুভার সভাপতি সাধন সিংহ। এদিনের আলোচনা সভায় রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের ৮০ জন অধ্যাপক ও গবেষক তাঁদের গবেষণা পত্র পেশ করেন। শ্রোতা দর্শক হিসেবে প্রায় ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।