শম্ভুনাথ সেনঃ
কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব ও পৌষমেলা এক আলাদা ঐতিহ্য। দেশ-বিদেশের পর্যটক সহ শান্তিনিকেতন ও রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। তাসত্ত্বেও ২০১৯ সালের পর থেকে বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হবার পরেও তার পরিবর্তন হয়নি। এবারও দোলের দিন বসন্তোৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। তার বদলে আজ ১০ এপ্রিল, বুধবার বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত হয় “বসন্ত বন্দনা”। উপাচার্য, সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, রেজিস্টার, শিক্ষক মণ্ডলী ও কর্মীবৃন্দ ছাড়াও বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় বসন্ত বন্দনা। “রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও গো এবার যাবার আগে” সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হলেও ছিল না কোন আবির বা রং খেলা। তার পরিবর্তে ফুল ছড়িয়ে সম্পন্ন হয়। আজ রাত্রে অবশ্য শ্যামা নৃত্যনাট্য অনুষ্ঠিত হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে এবার এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও বহিরাগতদের প্রবেশধিকারে ছিল নিয়ন্ত্রন। স্বভাবতই স্থানীয় বাসিন্দারা ছিল ক্ষুব্ধ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ” ইউনিসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পর আশ্রম চত্বরে আগের মত বহু মানুষের সমাগম সম্ভব নয়। তাই পর্যটক ও সাধারন মানুষের ভিড় সামাল দিতে বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে এই “বসন্ত বন্দনা’র” আয়োজন।