নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
সিউড়ি থেকে প্যাটেলনগর হয়ে সাঁইথিয়া প্রবেশের আগে ভবানীপুরে তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাসুদেব যোগাশ্রম। প্রতি বছর বর্ষশেষ আর বর্ষশুরুকে সামনে রেখে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় স্বামী সত্যানন্দ গিরির উদ্যোগে ওঁকার উৎসব। এবারেও ১৪৩০ এর ২৯-৩০ চৈত্র আর ১ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হল তিনদিনের ওঁকার উৎসব। এই যোগাশ্রমে প্রতিষ্ঠিত শিব মন্দিরকে সামনে রেখে চৈত্র গাজনের সময়ে প্রতি বছর এই উৎসবে বহু মানুষ মিলিত হন। ছোট্ট করে শুরু হওয়া বাসুদেব যোগাশ্রম এখন সুন্দর ভাবে সেজে উঠেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুকূল বিদ্যালয়। আশ্রমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও এখন নয়ননন্দিত। ২৯ চৈত্র শিবঠাকুরের মহাভিষেক, বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয় আশ্রমের প্রাণপুরুষ স্বামী সত্যানন্দ গিরির পৌরহিত্যে। গুরুকূল বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা পরিবেশন করে যোগাসন। এছাড়া ছিল ভাগবত পাঠ।
৩০ চৈত্র গৈরিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এদিন আয়োজন করা হয় মহাযজ্ঞের। সেই যজ্ঞ দেখতে বহু ভক্তের সমাগম হয় আশ্রমে। যজ্ঞের আগে আশ্রমের পথচলার ইতিহাস প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন আশ্রম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জড়িয়ে থাকা বিজয়কুমার দাস। আশ্রমের আর এক শুভাকাঙ্খী অধ্যাপক ভাস্কর কয়ড়ী পরিবেশন করেন সঙ্গীতাঞ্জলি। সন্ধ্যায় ছিল হরিনাম সংকীর্তন।
১ বৈশাখ বছরের প্রথম দিনকে স্বাগত জানানো হয় মঙ্গলারতি ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। দুপুরে বহু ভক্ত পঙক্তিভোজনে মিলিত হন। সন্ধ্যায় বিনতা ভট্টাচার্য ও নম্রতা ভট্টাচার্যর পরিচালনায় বেণুকমল নৃত্যাঙ্গণের নৃত্যানুষ্ঠান ছিল আকর্ষণীয়। স্বামী সত্যানন্দ গিরি জানালেন, আশ্রমে এখন বহু মানুষ নিয়মিত আসেন। সবার সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে এই আশ্রম। ছোটদের একটি স্কুল চলছে। নিয়মিত ধর্ম আলোচনা, শিবপুজো হয়। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে একদা আচার্য রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, জীমূতবাহন ভট্টাচার্য প্রমুখ বিশিষ্টজনেরাও যোগ দিয়েছেন।