শম্ভুনাথ সেনঃ
দু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বীরভূমের দুটি কেন্দ্র “বীরভূম” এবং “বোলপুর” (তপঃ) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে ভোট দেন ভোটাররা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার ছিল বোলপুর কেন্দ্রে ৭৭.৭৭ শতাংশ এবং বীরভূম কেন্দ্রে ৭৫.৪৫ শতাংশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। যদিও এই হার আরো কিছুটা বাড়বে। কারণ ভোট গ্রহণ হয়েছে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত। দুটি লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কিছু জায়গায় ইভিএম মেশিন খারাপ থাকার দরুন দেরিতে ভোট গ্রহণের খবর পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি বুথে বিজেপি এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বীরভূম লোকসভার হাটজনবাজার এলাকায় বিজেপি দলের অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপির কর্মীদের দাবি ভোটের স্লিপ বিলি করার জন্য তারা এই অস্থায়ী ক্যাম্প করেছিল তবে রাতের অন্ধকারে তাদের এই অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেয় তৃণমূলের কর্মীরা। ছিঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের পোস্টার। রামপুরহাট বিধানসভার ১৪৯ নম্বর বুথ বগটুই গ্রামের জুনিয়র গার্লস স্কুলের বুথে কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ প্রার্থী মিল্টন রশিদ নিজে বুথের সামনে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিল। মিল্টন বাবু জানিয়েছেন এটা ভুল বোঝাবুঝির দরুণ হয়েছে। পরে অবশ্য তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান।
প্রসঙ্গত, এই বুথেই চারটি মেশিন খারাপ থাকার দরুন পরিবর্তন করা হয়। সেজন্য সকাল সাড়ে ৯ টার পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উল্লেখ্য, এবারে নির্বাচনে বীরভূমে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভোটকেন্দ্রে ডিউটি করতে এসে মৃত্যু হয় এক কেন্দ্র বাহিনীর বিএসএফ জওয়ানের। মুরারই বিধানসভার জাজিগ্রামে ২০৩ নম্বর বুথে কর্তব্যরত এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ভোট করতে এসে অসুস্থ বোধ করেন, ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান। তারপর অসুস্থ ওই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে রামপুরহাট গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসারা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নাম মহেন্দ্র সিং (৫৫)। বাড়ি উত্তরাখণ্ডে।