শম্ভুনাথ সেনঃ
সারা দেশের সঙ্গে বীরভূমেও কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী যথোচিত শ্রদ্ধায় পালিত হল। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয় সদর সিউড়িতে। এছাড়া জেলা জুড়ে স্কুল, কলেজ, লাইব্রেরীতেও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবির জন্মদিনটি সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। কবির একদিকে অনন্ত প্রেম, অন্যদিকে বিদ্রোহ। মূলত বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর রসিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাঁর লেখনীতে অনায়াসেই উঠে এসেছিল, “আমি খেলিব খেলাব, হাসিব হাসাব, কাঁদিব কিন্তু কাঁদাব না। কী কবিতায়, কী গানে, উপন্যাসে, গল্পে সর্বত্রই মানবমুক্তির প্রেমময় বাণী। কি প্রেম, কি দ্রোহ দুই-ই ঝঙ্কৃত হয়েছে জাতীয় কবি নজরুলের সৃষ্টিতে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার পাশাপাশি সামাজিক বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনা, কুসংস্কার, হীনম্মন্যতার বিরুদ্ধেও শিখিয়েছেন রুখে দাঁড়াতে।
ইসলামপুর নজরুল সংঘ ক্লাবে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন
আজ বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে খয়রাশোল থানায় কবির জন্মদিন উদযাপিত হয়। দিশারী সাংস্কৃতিক চক্রের উদ্যোগে লাভপুর অতুলশিব ক্লাবে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় কবির জন্ম জয়ন্তী। নানুর ব্লকের উচকরণ গভঃ পাবলিক রুলার লাইব্রেরীতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মদিন পালনের খবর পাওয়া গেছে।
উচকরণ লাইব্রেরীতে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন
দুবরাজপুর পুরসভার উদ্যোগে পালিত হয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়ন্তী। এদিন কবির পূর্ণাবয়ব মর্মর মূর্তিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন দুবরাজপুর পূরপ্রধান পীযূষ পান্ডে। দুবরাজপুর পুরসভার পাওয়ার হাউস মোড় বাসস্ট্যান্ডে বেশ কয়েক বছর আগেই কবির এই মর্মর মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। এদিনের এই জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার মানিক মুখোপাধ্যায়, সেখ নাজিরুদ্দিন, সনাতন পাল, শিক্ষক অরিন্দম চ্যাটার্জি সহ পুরসভার সকল কর্মীবৃন্দ। এদিন দুবরাজপুর পুরসভার ইসলামপুর নজরুল সংঘ ক্লাব কাজী নজরুলের জন্মদিন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে পালন করে।
দুবরাজপুর পাওয়ার হাউস মোড়ে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন