প্রতি মাসের সাহিত্যসভার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান বীরভূমের লাভপুরে

শম্ভুনাথ সেনঃ

বীরভূমের মাটিটাই আলাদা। সাহিত্যচর্চার মাটি। আর বীরভূমের ভূমিপুত্র তারাশঙ্করের লাভপুরের মাটিতে তাঁরই বৈঠকখানা ধাত্রীদেবতায় ২৬ মে অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্যসভা। প্রতিমাসের শেষ রবিবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সাহিত্যসভা অনুষ্ঠিত হয়।তারাশঙ্কর চর্চার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় ছাত্র ও যুবসমাজকে সঠিক পথের দিশা দিতে এই সাহিত্য সভার মূল উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, এখানে সাহিত্য চর্চা বহু পুরোনো। তবে মাঝখানে তা স্তব্ধ হয়ে যায়। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর নয়া উদ্যোগ। এদিন সাড়ম্বরে এই সাহিত্যসভার বর্ষপূর্তি উদযাপিত হয়। এ মাসের সাহিত্যচর্চার বিষয়বস্তু ছিল “রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের নাট্যচর্চা”!
উল্লেখ্য, রবিঠাকুর জন্মেছিলেন জমিদার বংশে কলকাতায়। কিন্তু বীরভূমকে ভালোবেসে তাঁর সাহিত্য সাধনার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন রাঙ্গামাটি বীরভূমের শান্তিনিকেতন। তিনিই তো বীরভূমকে চিনিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। বীরভূমবাসী হিসেবে এ আমাদের পরম পাওয়া। আর নজরুল ছিলেন দুখু মিঞা। কখনো রুটির দোকানের কর্মচারী, তো কখনো লেটো দলের কবি। কখনো প্রেমিক, আবার কখনো বিদ্রোহী! কখনো আমীর, তো কখনো ফকির! তাঁর সারা জীবনটায় নাটকীয়।

এদিন সাহিত্য সভায় এই দুই নক্ষত্রের নাট্যচর্চার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোকপাত করেন উপস্থিত কবি সাহিত্যিকরা। এই সাহিত্য সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক সুনীল পাল। অনুষ্ঠানে যাঁদের উপস্থিতি ও আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে সমৃদ্ধ করে তাদের মধ্যে ছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতুষ্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর সম্পাদক শিক্ষক উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অবসরপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষক জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঘোষ, বেণুকর নন্দী, বিশিষ্ট ছড়াকার, তবলাবাদক তথা শিক্ষক সমীর কুমার দাস বৈরাগ্য, কবি আনন্দ নারায়ণ ঘোষ, সাহিত্যপ্রেমী কেদারনাথ আচার্য, অংশূলা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক পরিমল চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষিকা তথা সাহিত্যসেবী বিণীতা দত্ত প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক কৌশিক রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *