ইতিহাস প্রসিদ্ধ সাঁওতাল বিদ্রোহের মর্মান্তিক স্মৃতি বিজড়িত সাঁওতাল কাটা পুকুর পরিদর্শন করলেন আদিবাসী সামাজিক সংগঠন

সনাতন সৌঃ

৭ জুন ২০২৪ সকাল সাড়ে সাতটায় বীরভূম সীমান্ত লাগোয়া ইতিহাস প্রসিদ্ধ সাঁওতাল বিদ্রোহের মর্মান্তিক স্মৃতিবিজড়িত দিগুলী সাঁওতাল কাটা পুকুর পরিদর্শন করলেন “গোটা ভারত সিধু-কাণু বৈশী” নামক এক আদিবাসী সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এই পুকুর প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক ডাক্তার আনন্দ মোহন সরেন, পরমেশ্বর হেমব্রম, সনাতন মুর্মু, মনোবল সরেন। সঙ্গে ছিলেন বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতির রাজ্য সভাপতি তথা বরিষ্ঠ সাংবাদিক গৌতম চট্টোপাধ্যায়, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ আশ্রমের মুখ্য পরিচালক স্বামী নিত্যব্রতানন্দ মহারাজ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার হরপ্রসাদ মুখার্জি, স্থানীয় গ্রাম সভার সভাপতি শ্যাম রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রথমেই এই স্মৃতি বিজড়িত পুকুরের পাদদেশে গিয়ে সাঁওতাল বিদ্রোহের অমর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এই ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরে সাঁওতাল কাটা পুকুরের পটভূমি ও অমর শহীদদের স্মরণে আলোকপাত করা হয়। এই সাঁওতাল কাটা পুকূরের সরকারি স্বীকৃতি দাবীর অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এলাকার অন্যতম কর্মকর্তা ইতিহাস বিদ্ ও গবেষক গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত শ্রীদাম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের এই বিষয়ে ভূয়সী প্রসংশা করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবৎ এই ঐতিহাসিক সাঁওতাল কাটা পুকুরটি অবহেলায় অনাদরে পড়ে ছিল। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কয়েক জন ব্যক্তির পুকুরটির প্রতি নজর পড়ে। তারপর যাতে মর্যাদা পায় তার জন্য গৌতম চট্টোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে এলাকার মানুষ লাগাতার আন্দোলন করেন। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই সাঁওতাল কাটা পুকুরটিকে জাতীয় পর্যটন স্থল হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই পুকুরটি যাতে জাতীয় পর্যটন স্থল হিসাবে অতি সত্বর কার্যকর হয় তার জন্য একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অমর শহীদের স্মরণে আগামী ৭ জুলাই এখানে হুল দিবস পালন করা হবে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *