সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বীরভূম জেলার খয়রাশোল থানার জামরান্দ, ফুল্লচক, কেন্দ্রগড়িয়া সহ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে ফ্লোরাইডের নমুনা পাওয়া গেছে।জল পরীক্ষা করে জানা যায় যে, প্রায় আট মিলিগ্রাম পর্যন্ত ফ্লোরাইডের মাত্রা রয়েছে। ফ্লোরাইড যুক্ত জল পান করার ফলে এলাকার বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। দাঁত কালো বা হলদে রঙের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যাওয়া, হাড়ক্ষয়, শরীরে বার্ধক্যের ছাপ সহ নানান রোগের শিকার এলালাবাসীরা। আর সেটা মূলত এলাকার পানীয় জল থেকেই এধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে জল পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট থেকে প্রকাশ। সরকারি বেসরকারি ভাবে বহু চেষ্টা করেও বিশুদ্ধ পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের পথ সুগম হয়নি। অবশেষে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির গবেষণাগারে পানীয় জলের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর পড়ুয়াদের কথা মনে রেখে ওয়াটার ফর পিপল এর আর্থিক সহযোগিতায় ফ্লোরাইড মুক্ত জলের মেশিন বসানো হয় কেন্দ্রগড়িয়া হাইস্কুলে। শনিবার সেই ফ্লোরাইড মুক্ত জল মেশিনটির শুভ উদ্বোধন করা হয় একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কেন্দ্রগড়িয়া হাই স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরারা অবশেষে ফ্লোরাইড মুক্ত জল পেয়ে উপকৃত হবে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্য। সেইসাথে ফ্লোরাইড মুক্ত জলের লক্ষ্যে ফিল্টার মেশিন বসানোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এলাকার মানুষজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন্দু গাঙ্গুলী, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে আগত সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত রায়, পি এইচ ডি রিসার্চ স্কলার যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ছাত্র দেবদাস চৌধুরী ও অনিন্দিতা নস্কর, শিক্ষক শ্যামল গায়েন, কেন্দ্রগড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমেন্দু মল্লিক এবং বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার গায়েন, কে্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধান কেয়া দাস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী সুধাকর মুন্সী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।