সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলার বুকে কয়েকটি পঞ্চায়েত সহ বেশ কিছু সদস্য নির্বাচিত হন বিজেপির টিকিটে।কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জেলাজুড়ে চলছে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের দলবদলের পালা।রামপুরহাট, দুবরাজপুর, সিউড়ী সহ বিভিন্ন ব্লক এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যরা সদলবলে তৃনমূলে যোগদান করেছেন। সেইরূপ রবিবার খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত লোকপুর পঞ্চায়েত প্রধান সহ এক সদস্যা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যোগ দিলেন তৃণমূলে। উল্লেখ্য খয়রাশোল ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র লোকপুর পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে বোর্ড গঠন করে।উক্ত পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৪ টি। যার মধ্যে বিজেপি ৮টি, তৃণমূল ৪টি এবং নির্দল ২টি আসন পায়। যদিও ২ জন নির্দল সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগদান করে।বিজেপি সংখ্যা গড়িষ্ঠতার নিরিখে লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন রুপা গোপ। এদিন খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি থেকে নির্বাচিত প্রধান রুপা গোপ ও সদস্যা মৌসুমী ধীবর সহ প্রায় ৪০টি পরিবার পদ্ম ফুল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করেন। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলত্যাগীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সম্পাদক দেবব্রত সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল গায়েন ও মৃনালকান্তি ঘোষ এবং সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরী ও কাঞ্চন দে। পাশাপাশি ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারন সম্পাদিকা অসীমা ধীবর, ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব সেখ জয়নাল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী লোকপুর পঞ্চায়েত প্রধান সহ এক সদস্যার বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতে এবং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এই যোগদান! অন্যদিকে রাজ্য যুব তৃণমূলের সম্পাদক দেবব্রত সাহা বলেন – আমাদের একটাই নেত্রী, একটাই নাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি সারাদেশে শুধু লড়াই দিচ্ছেন এবং সামনে সারিতে থেকে। সেই লড়াই হচ্ছে বাংলার জন্য, বাংলার মানুষের জন্য, বাংলার উন্নয়নের জন্য। সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য লোকপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান সহ এক সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করে।