বিশ্বভারতীর আপত্তিতে সরে গেল বোলপুর পুরসভা কর্তৃক স্থাপিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি

শম্ভুনাথ সেনঃ

বিশ্বভারতীর আপত্তিতে ”ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ” বাফার জোন থেকে ৩ আগষ্ট রবীন্দ্রমূর্তি সরিয়ে নিয়েছে বোলপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ৷ বিশ্বভারতীর ১০০ মিটারের মধ্যে স্থাপন করা এই ১৫ ফুটের এই রবীন্দ্র মূর্তিটি ক্রেনে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বভারতীর অনুমতি না নিয়েই এই মূর্তি স্থাপন করেছিল বোলপুর পুরসভা। উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের হাত দিয়ে তা উদ্বোধনের কথা ছিল। তবে বিশ্বভারতীর নিষেধাজ্ঞায় তা উদ্বোধন হয়নি। এদিন ক্রেন দিয়ে অতি সাবধানতায় মূর্তিটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের খবর বোলপুরের মুলুকে এই রবীন্দ্রমূর্তিটি প্রতিস্থাপন করা হবে৷ এই মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোলপুর পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানিয়েছেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো গুরুদেবের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ আলোচনায় বিশ্ব ঐতিহ্যের সীমানা চিহৃিত করে ইউনেসকো। সেই সীমারেখার মধ্যেই হঠাৎ করে দেখা যায় শান্তিনিকেতনের কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে প্রায় ১৫ ফুটের একটি সাদা রবীন্দ্রমূর্তি স্থাপন করে বোলপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ৷ যা নিয়ে জোরালো আপত্তি তোলে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর দাবি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও প্রকাশ্যে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ এবং গুরুদেবের মূর্তি নেই৷ কারণ শান্তিনিকেতনের ব্রহ্ম আশ্রম নিরাকারে বিশ্বাসী। এই বিতর্ক হতেই তড়িঘড়ি মূর্তির উন্মোচন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল বোলপুর পুরসভা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে শেষপর্যন্ত ক্রেন এনে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সেই মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়। এই মর্মে বোলপুর পুরসভার তরফে অবশ্য কেউ আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *