শম্ভুনাথ সেনঃ
রাত পোহালেই “বাইশে শ্রাবণ”। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। প্রতি বছর ২২ শ্রাবণ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ অনুষ্ঠান পালিত হয় বিশ্বভারতীতে৷ এবার এই কবি প্রণাম অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল বিশ্বভারতীর “বাংলাদেশ ভবনে”। পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে বিশ্বভারতীর ‘বাংলাদেশ ভবন’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কবি প্রণাম অনুষ্ঠান৷ পরিবর্তে বৃক্ষরোপণ সহ সমগ্র অনুষ্ঠানটি হবে উপাসনা গৃহের বিপরীতে পুরোনো মেলার মাঠে ।উল্লেখ্য, উত্তাল এখন বাংলাদেশ৷ প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন সেখ হাসিনা। পড়শি দেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ২২ শে শ্রাবণ কবি প্রয়াণ অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ভবন’ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তড়িঘড়ি বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য-সহ আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের অর্থানুকূল্যে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে এই “বাংলাদেশ ভবন” নির্মিত হয়। এই বাংলাদেশ ভবনে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি-সহ মুক্তিযুদ্ধের নানান ছবি, ভাস্কর্য, তথ্য ৷ এছাড়া রয়েছে একটি গ্রন্থাগার, প্রেক্ষাগৃহ-সহ পড়াশোনার কক্ষ।
২০১৮ সালের ২৫ শে মে এই ভবন উদ্বোধনে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক ডাকেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত, বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে বৈঠকে সমগ্র অনুষ্ঠানটি স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷