
শম্ভুনাথ সেনঃ
অনেকের বাড়িতেই সংগীত চর্চা রয়েছে। ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে বসে সংগীত শেখে গৃহশিক্ষকের কাছে। কিন্তু সেই পরিবারের ছেলে মেয়েটি উচ্চ মাধ্যমিকের পর সংগীত বিষয়ের উপর স্নাতক হওয়ার জন্য তেমন করে আগ্রহ থাকেনা। বলা যায় সুযোগও পায় না। আসলে বিশ্বভারতীতে সংগীত চর্চার উপর স্নাতক বা মাস্টার ডিগ্রী করা যায় বটে কিন্তু প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে না বলে ভর্তি হওয়া যায় না। তবে বীরভূম জেলায় একমাত্র মহিলা কলেজ রয়েছে যেখানে সংগীতের উপর স্নাতক এবং সাম্মানিক পড়ানো হয়। বোলপুর পূর্ণিদেবী চৌধুরী কলেজ। বীরভূম জেলার প্রথম মহিলা কলেজ যেখানে বিশ্বভারতীর পর সংগীত বিভাগ নিয়ে স্নাতক সাম্মানিক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। যেসব ছাত্রী সঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তারা অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী সুযোগ নিতে পারেন এই কলেজে। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে দীর্ঘদিন সংগীত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বীরভূমের বোলপুরে এই পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয় ২০০৫ সালে স্থাপিত হলেও, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়েছে সংগীত বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার সুবিধা। বর্তমানে সঙ্গীত বিভাগে এই কলেজে মোট ছাত্রী রয়েছে অনার্স বিভাগে ৩০ জন এবং পাস কোর্সে ২৯ জন। এই কলেজে সঙ্গীত বিভাগে শিক্ষাদানের দায়িত্বে রয়েছেন মোট ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। রবীন্দ্র সঙ্গীত, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সহ আরো অন্যান্য সঙ্গীত,তবলা থিওরি ক্লাসের পাশাপাশি চলে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস। এ তথ্য জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ সুনীল বরন মণ্ডল। কলেজের সংগীত বিভাগের অধ্যাপিকা ডঃ মৌসুমী পাল জানান মূলত ২০০৯ সাল থেকে এই কলেজে পঠন পাঠান শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই কলেজে বিভিন্ন বিভাগের পাশাপাশি সংগীত বিভাগে ছাত্রীরা পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশেষ করে সংগীত বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে ছাত্রীরা অনেকটাই খুশি। কারণ বোলপুর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ সবার হয়ে ওঠেনা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই কলেজ ছাড়া বীরভূমে আর কোন কলেজে সংগীতের উপর স্নাতক সাম্মানিক পড়াশোনা করার সুযোগ নেই। এই কলেজে সংগীত বিভাগে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে ছাত্রীরা খুশি ব্যক্ত করেন।