নয়াপ্রজন্ম প্রতিবেদনঃ
একটা কথা আছে ভালো মানুষকে কখনও মনে রাখতে হয় না। আপনা থেকেই মনে পড়ে যায়। এমনই একজন মানুষ ছিলেন কাঞ্চন সরকার। নানুর পাঠাগারের সাহিত্য সভায় কাঞ্চন সরকার স্মৃতি পুরস্কারের তৃতীয় পর্যায় হল। একঝাঁক নবীন ও প্রবীন সাহিত্যিকদের উপস্থিতিতে কাঞ্চন সরকার স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেওয়া হল এক মানবিক মুখ চারকলগ্ৰামের শ্রী বিশ্বনাথ মুখার্জী মহাশয়ের হাতে। বিশ্বনাথ মুখার্জী মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন ও এখনও তিনি বিনা বেতনে নানুর চণ্ডীদাস উচ্চবিদ্যালয়ে মানুষ গড়তে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। এহেন মানুষের হাতে কাঞ্চন সরকার স্মৃতি পুরস্কার তুলে দিতে পেরে নানুর পাঠাগারের সাহিত্য সভা খুব খুশি। মানুষ খুঁজে বেড়াতেন কাঞ্চন সরকার। নানুর পাঠাগারের সাহিত্য সভাও মানুষ খুঁজে উপযুক্ত মানুষের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিচ্ছে। এবারের সাহিত্য সভায় এক খেটে খাওয়া দরীদ্র বিধবা সাকুলিপুরের সন্ধ্যা দাস অভূতপূর্ব মানবিকতার নির্দশন দেখালেন।একবেলা না খাটলে যার পেট চলে না, অসুখ হলে ডাক্তার দেখাবার পয়সা নেই, সেই অসহায় মহিলাও একটি দামী ফ্যান পাঠাগারের গ্ৰন্থাগারিকের হাতে কাঞ্চন সরকার স্মৃতি পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন। কাঞ্চন সরকারের সার্থকতা এখানেই। সাহিত্য সভায় অন্য এক সাহিত্যিক উচকরণ নিবাসী উজ্জ্বল মুখার্জী সন্ধ্যা দাসের মানসিকতায় আপ্লুত হয়ে সন্ধ্যা দাসকে বরণ করলেন পরিধেয় বস্ত্র প্রদান করে। কাঞ্চন স্মরণে, মননে, কাঞ্চন আলোচনায় সাহিত্য সভা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিল। আমরা অপেক্ষায় আছি পরবর্তী সাহিত্য সভার জন্য। সেখানেও আমরা এক মানবিক মুখের জন্য আর এক মানবিক মুখকে কাঞ্চন সরকার স্মৃতি পুরস্কার দিয়ে বরণ করে নেব।