ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী একটি বাড়ির ভেতর থেকে অবৈধ মজুদকৃত প্রায় ২০ টন কয়লা উদ্ধার, ধৃত মজুদকৃত ব্যাক্তি

সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ

অবৈধভাবে বালি,কয়লা পাচার বন্ধে জেলা প্রশাসন অতি সক্রিয়ভাবে নজরদারি চালাচ্ছেন। যার ফলে প্রতিদিন জেলার কোনো না কোনো থানায় অবৈধভাবে বালি, কয়লা সহ গাড়ি আটক হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও এক শ্রেণীর পাচারকারী বেপরোয়াভাবে পাচার করেই যাচ্ছে। পুলিশ ও যেন পিছু ছাড়তে নারাজ। সেরূপ লোকপুর থানার ওসি পার্থ কুমার ঘোষ শনিবার গোপন সূত্রে খবর পান যে ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি পাকা বাড়ির ভেতরে অবৈধভাবে মজুদকৃত কয়লা রয়েছে।এদিনেই সন্ধ্যার সময় ওসি সাধারণ পোষাকে ক্রেতা সেজে কয়লা মজুদকৃত মালিকের লটকন দোকানে বিস্কুট কেনার ছলে ঢুকেন। সেখানে কথা প্রসঙ্গে অবৈধ মজুদকৃত কয়লার কথা স্বীকার করে। পরক্ষনেই খামার বাড়ি দিকে নিয়ে গিয়ে দেখান খড় ঢাকা অবস্থায় রয়েছে কিছু কয়লা। পাশেই একটা রুমের দরজা তালা মারা। দরজার তালা খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। ঘরের মধ্যেই বেশীরভাগ কয়লা মজুদ রয়েছে। দুটি জায়গা মিলিয়ে প্রায় কুড়ি টন কয়লা উদ্ধার হয় সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি অবৈধ মজুদকৃত কয়লার মালিক জগন্নাথ গোপকে গ্রেফতার করে।জানা যায় কয়লা গুলো ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কাস্তা থেকে আনা হয়েছে। ধৃতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বাগডহরী থানার মুড়াবেড়িয়া গ্রামে। তবে লোকপুর থানার জাহিদপুর গ্রামে বাড়াবন জঙ্গল থেকে মুড়াবেড়িয়া কিম্বা বাগডহরী যাবার পাকা রাস্তার পাশে রয়েছে ধৃতের নিজস্ব পাকা বাড়ি। সেখানে বসত না করলেও একটা লটকন দোকান চালান আর তার আড়ালে অবৈধ কর্মকান্ড চলে বলে পুলিশের ধারণা। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই অনুরূপ ভাবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লোকপুর ও রাজনগর থানার পুলিশ নিজ নিজ থানার সীমানা বরাবর একযোগে ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকার রাস্তার উপর হানা দিয়ে দশটি মোটরসাইকেল সহ সত্তর ক্যুইন্টাল কয়লা বাজেয়াপ্ত করে। যদিও পাচারকারীরা মোটরসাইকেল ছেড়ে গাঢাকা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *