
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বীরভূম। কিন্তু সেসমস্ত সম্পদ অবাধে লুঠ হয়ে চলছে। যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি প্রসাশনিক মিটিং থেকে সরাসরি জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন। যারপরনাই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। শুরু হয় নিয়মিত অভিযান। এমনকি গভীর রাতেও চলে অবৈধ বালি ঘাটে অভিযান। ওভার লোডিং সহ অবৈধভাবে পাচারের সময় বহু গাড়ি আটক করা হয়। এতদসত্ত্বেও কয়লা বালি পাচার অব্যাহত। সেই হিসেবে অবৈধ বালি কয়লা পাচার রোধে ডিএসপি ডিইবি স্বপন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাতভর চলে জাতীয় সড়কের ওপর নজরদারি। এদিন ঠিক সকালের দিকে সদাইপুর এবং দুবরাজপুর থানা এলাকায় অবৈধ বালি ও কয়লা পরিবহনের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ অভিযান চালাতেই হাতেনাতে মেলে সাফল্য। জানা যায় যে সদাইপুর থানা এলাকায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বক্রেশ্বর সেতুতে সদাইপুরগামী দুটি ওভারলোড বালি ভর্তি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে৷ কিন্তু উভয় গাড়ির চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দুবরাজপুর থানা এলাকায় লোবার অবৈধ বালি ঘাট থেকে বালি তুলে আনছিল বলে খবর। পরবর্তী অভিযানে একটি হেতমপুরগামী প্রায় তিন ক্যুইন্টাল অবৈধ কয়লা বোঝাই মোটর সাইকেল ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুবরাজপুর থানা এলাকার অধীনে লাড্ডি হোটেলের কাছে আটক করা হয়েছে বমাল সহ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃত ব্যাক্তি কাঁকরতলা থানার অধীন কদমডাঙ্গার সঞ্জয় পাল। ধৃতের কথামতো ঝাড়খণ্ডের আড়ং থেকে কয়লা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আটককৃত দুটি বালি ওভারলোডেড ট্রাক্টর এবং কয়লা বোঝাই মোটর সাইকেল পরবর্তীতে আইনের যথাযথ ধারায় মামলা শুরু করার নির্দেশনা সহ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানা যায়।
