
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
দীর্ঘ একমাস কেয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর তথা ঈদ উৎসব। সেই উৎসবের আবহে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তথা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রতিটি থানা এলাকার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় শান্তি বৈঠক। সেখান থেকে মূলতঃ যে বার্তা দেওয়া হয় তা হচ্ছে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের। জেলা পুলিশ ও এবিষয়ে সদাজাগ্রত। দ্বিতীয়ত অনেক সময় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আনন্দের দিনে নিরানন্দ বয়ে আনে পরিবারের পাশাপাশি এলাকাজুড়ে। বিশেষকরে কচিকাঁচাদের মধ্যে এদিন হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়াভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে অভ্যস্ত। সেখান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয় অভিভাবকদের মধ্যে। সাথে সাথে ডিজে বক্সের দাপটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ডিজে বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক সকলেই যেন আইন মেনে চলেন নতুবা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন। এরপর আজ ২৮ শে মার্চ রমজান মাসের শেষ শুক্রবার যাহা আলবিদা নামে পরিচিত।এর দিন কয়েক পরেই অনুষ্ঠিত হবে খুশির উৎসব ঈদ। যেখানে নতুন পোশাক পরিধান, মিষ্টান্ন মুখ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব চলে। অনেক অসহায় পরিবার নতুন পোশাক পরিধান থেকে বঞ্চিত হন অর্থনৈতিক অনটনের কারণে। সেই সমস্ত অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে বীরভূম জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং সদাইপুর থানার ওসি মহম্মদ মিকাইল মিয়ার ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় থানা এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের মাঝে নতুন পোশাক তুলে তাদের পাশে দাঁড়ালেন মানবিকতার কারণে। পাশাপাশি এদিন সদাইপুর থানা এলাকার সকল মসজিদের পেশ ইমামদের কাছে ঈদ-উল-ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ইফতার সামগ্রী এবং লাচ্ছার প্যাকেট প্রদান করা হয় প্রতিটি গ্রামের মসজিদে গিয়ে। জেলা পুলিশের এরূপ মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন এলাকাবাসী। জনসংযোগ রক্ষার্থে তথা জনগণের বন্ধু হয়ে উঠার ক্ষেত্রে এএক বড় পদক্ষেপ বলে এলাকাবাসীদের অভিমত।
