
শম্ভুনাথ সেনঃ
বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার শপথ নিয়ে ১১ মার্চ থেকে তিন দিনের রাঢ় পরবের সূচনা হলো বীরভূমের কবিতীর্থ জয়দেব-কেন্দুলিতে। এদিন জয়দেবের বাউল মঞ্চে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনাথ বন্ধু ঘোষ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী কানাই দাস বাউল, অনন্ত দাস বাউলরা। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী তথা উৎসব কমিটির সভাপতি শুভেন্দু মাইতি, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক নীলোৎপল ভট্টাচার্য, সৌগত চৌধুরী, উৎসব কমিটির সম্পাদক তথা বিশিষ্ট ছড়াকার সন্তোষ কর্মকার কমিটির ও অর্ডিনেটর তথা গবেষক মহঃ ইনতাজ আলী প্রমুখ। উদ্বোধনের পর মঞ্চের বক্তারা বলেন বর্তমান সংস্কৃতি জগৎকে যেভাবে বিকৃত করা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক, এজন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। সঙ্গীত শিল্পী শুভেন্দু মাইতি বলেন বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই মূলত রাঢ় উৎসবের সূচনা। আগামী দিনে এই উৎসব ব্যাপক আকার নেবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে জয়দেবের রামপুর এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জয়দেব এলাকা পরিক্রমা করে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আদিবাসী, ঝুমুর, রণপা নৃত্য শিল্পীরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য,তিনদিন ব্যাপী এই উৎসবে বোলান,আদিবাসী নৃত্য, কবিগান, নাটুয়া ও রণপা নৃত্য, মুসলিম বিয়ের গান, রায়বেশে নৃত্য, বাউল-ফকিরি গান, কীর্তন সহ রাঢ় এলাকার লোকসংস্কৃতি পরিবেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এছাড়াও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বীরভূম, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ রাঢ় বাংলার বিভিন্ন এলাকার লোকশিল্পীরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।
